আরও পড়ুন- "রাজ্যে মন নেই আর, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা": কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের!
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো অত বড় না হলেও ওই মন্দিরের আদলেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) হবে। বর্তমানে দিঘা-মন্দারমণি-তাজপুর মিলিয়ে একটি ট্যুরিজম সার্কিট গঠিত হয়েছে। দিঘায় (Digha Tourism) সমুদ্র তীরে এই মন্দির তৈরি হয়ে গেলে, সমুদ্র ও মন্দির দু'টিই একসঙ্গে মিলবে। একদিকে সমুদ্র সৈকত। অন্যদিকে জগন্নাথ মন্দির। সুতরাং পুরী যেতে না পারলেও চটজলদি দিঘায় আসতে পারবেন পর্যটকরা। এই বিষয়টি ভেবেই পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার।
advertisement
ইতিমধ্যেই ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। তাই নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত আনন্দিত। এবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) হয়ে গেলে বাইরে থেকেও তা দেখতে পর্যটকরা রাজ্যে আসবেন বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সারা পৃথিবীতে বন্দিত হবে বাংলা। দিঘায় জগন্নায় মন্দির বাইরে থেকে মানুষ দেখতে এলে সেখানে পর্যটনের বিকাশ হবে।" এখানে পর্যটকরা এলে তাঁরা পুজো দেবেন, নানা জিনিসপত্র কিনবেন। ফলে অর্থের জোগান বাড়বে। যা স্থানীয় স্তরের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে বলেও মনে করে প্রশাসনিক মহল। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে কর্মসংস্থান এখন পাখির চোখ মুখ্যমন্ত্রীর।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে নতুন করে গড়ে পুরীর ধাঁচেই ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন- সুখের তালিকায় ১৩৬ নম্বরে ভারত! "ঘৃণার তালিকার শীর্ষে থাকবে দেশ", কটাক্ষ রাহুলের
প্রায় দু’একর জমিতে ওই মন্দির (Digha Jagannath Temple) গড়ে উঠবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। হিডকোর তরফে মন্দির তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। জগন্নাথ ধাম ও সংস্কৃতি চর্চা গঠন করা হবে। মন্দিরের যে প্রস্তাবিত নকশা চূড়ান্ত হয়েছে তা চোখ ধাঁধানো। রাজ্যের লক্ষ্য দ্রুত সেই কাজ শেষ করা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরে দিঘার একটা বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দিঘাকে ফের সাজানো হয়েছে। মন্দির তৈরি হয়ে গেলে দিঘায় আরও বেশি পর্যটক আসবে বলে আশাবাদী রাজ্য।
Abir Ghoshal