ভারতে প্রায় ২.২ লক্ষ রোগী কিডনির অসুখে ভুগছেন ৷ বিপুল খরচে ডায়ালিসিস প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য কষ্ট সাধ্য ৷ এছাড়া প্রক্রিয়াগত জটিলতার জন্য ডায়ালিসিস পরিষেবা সমস্ত হাসপাতালে পাওয়া যায় না ৷ এই অসুবিধাটি নজরে রেখে অর্থমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করলেন, এবার থেকে সমস্ত জেলা হাসপাতালে কম খরচে মিলবে ডায়ালিসিস পরিষেবা ৷ এছাড়াও বাজেটে ওষুধের দামের উপরও নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করা হয়েছে ৷ স্বল্প দামে উন্নত মানের ওষুধ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি যোজনার অনুসারে সরকার গোটা ভারতে ৩৫০০ মেডিকাল স্টোর খুলতে চলেছে ৷ জেটলির বাজেটে ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই পরিকল্পনা অনুসারে ন্যায্যমূল্যে মিলবে ২৭ টি ওষুধ ৷
advertisement
এছাড়া,দেশের ১০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার রাস্তা তৈরি হল। ইউনিভার্সাল হেলথ ইনসিওরেন্স কার্ডের মতোই বিমার আওতায় থাকা মানুষ পাবেন হেলথ স্মার্ট কার্ড। ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা মিলবে এই কার্ডে। মাত্র ৪৯ টাকায় আরও ৩০ হাজার টাকা টপআপের সুবিধা থাকছে প্রবীণদের জন্য। এই বিমার জন্য ৫০ শতাংশ খরচ বহন করবে কেন্দ্র। বাজেট ঘোষণাতেই তা জানিয়েছেন জেটলি। এই মুহূর্তে দেশে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একরম কোনও বিমা যোজনা নেই ৷ প্রাথমিকভাবে ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এই পরিষেবা দেবে ৷ পরে বেসরকারি বিমা সংস্থাগুলিকেও এতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে ৷ ২১ টি কাজের দিনের মধ্যে যে কোনও দাবি পূরণ করা হবে ৷ অনলাইনে ও বিমার জন্য নির্দিষ্টে কিয়স্কে কার্ড টপ-আপ ও রিনিউয়ালের সুযোগ থাকবে ৷
স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ নিয়েও কার্পণ্য করেননি জেটলি। যক্ষা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৫০০ কোটি বরাদ্দ করেছেন বাজেটে ৷ শিশুদের চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে ৫০ টি শিশু হাসপাতালকে ২৫০ কোটির অনুদানের ব্যবস্থা রয়েছে ৷ বিশ্বমানের চোখের হাসপাতাল গড়তে ৫০০ কোটি বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী ৷ এর পাশাপাশি গ্রামীণ চিকিৎসা পরিকাঠামো খাতে ৯৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার ৷ আগের বছরের তুলনায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ ২৯, ৭০০ কোটি থেকে বেড়ে ৪০, ৪৫৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে ৷
তবে ঘোষণার পাশাপাশি রয়েছে বহু প্রশ্ন। অর্থমন্ত্রী হেলথ অ্যাপের স্বপ্ন দেখিয়েছেন অথচ গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক ও কর্মীদের অভাব পূরণের রাস্তা দেখাতে পারেননি। সচ্ছ ভারত থেকে সুস্থ ভারতের স্লোগান তুলেই শেষ হয়েছে জেটলির বাজেট।