ডিজিসিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "বর্তমানে এয়ারলাইনগুলিতে প্রায়শই প্রযুক্তিগত ত্রুটির খবর পাওয়া যাচ্ছে"। এয়ারলাইনগুলি নির্ধারিত মান মেনে চলছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিসিএ সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকটি স্পটচেকের পরিচালনা করেছে। ওই স্পট চেকিং করার সময় জানা গিয়েছে যে, ভারতের বেশির ভাগ এয়ারলাইনগুলি ভুলভাবে রিপোর্ট করার কারণে নানাবিধ ত্রুটি হচ্ছে। সীমিত দক্ষতা সম্পন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফের সঠিক ভাবে পরীক্ষা চালাতে পারছেন না। এছাড়াও এয়ারলাইনগুলি ‘মিনিমাম ইকুইপমেন্ট লিস্ট’-এর সাহায্যেই বিমান পরিচালনার কাজ করছে বলেও লক্ষ্য করেছে ডিজিসিএ।
advertisement
আরও পড়ুন: জুনিয়র কাপুরের নামের শুরুটা কি 'R' দিয়েই? সরাসরি জবাব দিলেন রণবীর-আলিয়া
কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) শীর্ষ মন্ত্রক এবং ডিজিসিএ আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একদিন পরেই ডিজিসিএর এই নির্দেশ এসেছে। পরিবহন মন্ত্রী বিভিন্ন বিমান পরিষেবার শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জানান যাত্রীদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এর সঙ্গে কোনও ভাবেই আপোস করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: সামান্থা যদি ব্যাচেলরেট পার্টি করেন তাহলে হোস্ট হতে হবে রণবীর সিংকে
গত তিন মাসে ভারতীয় এয়ারলাইনগুলি বার্ড হিট, উইন্ডশিল্ডের ফাটল, কম্পোনেন্ট ফেলিয়র, ইঞ্জিনের কম্প্রেসার সার্জ এবং ব্লেড ফেলিয়র, মিডল-এয়ার ইঞ্জিন শাট-ডাউন, ফ্লাইট ডাইভারশনের কারণে ফ্লাইট গ্রাউন্ডিংয়ের রিপোর্ট করেছে। চলমান বর্ষাকালে ফ্লাইটে এই ধরনের সমস্যার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। এর আগে ৬ জুলাই, ডিজিসিএ ১৯ জুন থেকে বিভিন্ন বিমান সংস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির অন্তত নয়টি ঘটনার উল্লেখ করার পরে স্পাইসজেটকে (SpiceJet) কারণ দেখানোর নোটিশ জারি করেছিল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে ডিজিসিএ-র তরফে কঠোর নির্দেশ দিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত বিমান সংস্থাগুলিকে এই নিয়ম চালু করতে হবে।