দেবের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে রাজ্যকে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখিত জবাবে অবশ্য দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা না মানার জন্যই রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ আটকে রাখা হয়েছে৷
বাংলায় একশো দিনের কাজের খাতে কত টাকা বকেয়া রয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের অভিনেতা সাংসদ। যদিও সে প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি নিরঞ্জন জ্যোতি। তবে অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের হিসেবে বাংলায় একশো দিনের কাজ বা মনরেগা প্রকল্পে মজুরি বাবদ বকেয়ার অঙ্ক ২,৭৬৫.৫৫ কোটি টাকা এবং কাজের সামগ্রী বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ২৪.৮২ কোটি টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: দিল্লিতে গভীর রাত পর্যন্ত শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, জল্পনা তুঙ্গে
দীর্ঘ সময় ধরে একশো দিনের কাজ, গ্রাম সড়ক যোজনা সহ নানান প্রকল্পে বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করছে তৃণমূল৷ প্রাপ্যের জন্য বার বার কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করেছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতেও বিষয়টি তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে একশো দিনের কাজের বকেয়া আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে বিক্ষোভ করার ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ অক্টোবর গাঁধি জয়ন্তীর দিনে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দফতরে ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি। তৃণমূল এবং রাজ্য সরকারের অভিযোগ যে অমূলক নয়, মঙ্গলবার তা প্রমাণ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি।
এর আগে পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সহ তৃণমূল সাংসদরা। যদিও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং সেই সময় দফতরে ছিলেন না। তবে, মন্ত্রকের সচিব তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। গেটের বাইরে আটকে থাকার পর অভিষেক ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ”সম্ভবত আমাদের প্রশ্নের জবাব মন্ত্রীর কাছে নেই। তাই আসেননি। ১৭ লাখ পরিবারের হকের পয়সা আটকে রাখা হয়েছে। আমরা বলেছি, এবার আমরা ৯ মাস অপেক্ষা করব না। জানিয়ে এসেছি। যে টাকা আটকে রাখা হয়েছে, সেটা বিজেপির টাকা নয়। জনগণের টাকা। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আসব।”
