ওই কাফেতে খাওয়ার পরে দু’জনের বিল হয়েছিল ১১,৯৫৮ টাকা। পোস্টে ওই ব্যক্তির দাবি, ভূমি তাঁকে জানান, তাঁর কাছে মাত্র ১০০ টাকা রয়েছে। হতভম্ব হয়ে ওই ব্যক্তি কাফের কর্মীকে বিলটা দুভাগে ভাগ করে দিতে বলেন। সেই সঙ্গে ওই মহিলা যাতে কাফে থেকে বেরোতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্যও অনুরোধ জানান। এবার বেজায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঝামেলা শুরু করেন ভূমি। এবার আসরে নামেন ওই কাফের মালকিন বর্ষা। ভীত-সন্ত্রস্ত ওই ব্যক্তিকে আরও চমকে দিয়ে বর্ষা তাঁর উপর অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা জরিমানা চাপিয়ে দেন। ফলে বিল গিয়ে দাঁড়ায় ২২০০০ টাকায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ট্রেনে যাওয়ার সময় বাড়ির খাবার নিয়ে যান? এবারে কিন্তু সাবধান…এই ভুল করবেন না, বড় সমস্যায় পড়বেন
ওই ব্যক্তি পোস্টে বলে চলেন যে, বর্ষার কথার প্রতিবাদ এবং দর কষাকষি করার পরেও যখন সমস্যা বাগে আসেনি, তখন তিনি ওই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে তাঁর বন্ধুকে ডেকে পাঠান। অবশেষে বিষয়টা ২৫০০ টাকায় নিষ্পত্তি হয়। দিল্লির ওই ব্যক্তির এহেন পোস্ট আসতেই জবাবে এক রেডিট ব্যবহারকারী লিখেছেন যে, “বিক্রি বাড়ানোর জন্য ওই মেয়েটিকে কাজে লাগিয়েছিল ওই পানশালা। এটা একটা বহুল প্রচলিত স্ক্যাম বা জালিয়াতির ফাঁদ।”
এমনকী ওই রেডিট ব্যবহারকারীর দাবির সত্যতা বোঝা যাবে Cafe Locus-এর গুগল রিভিউতে গেলেই। কারণ জঘন্য রেটিং রয়েছে এই পানশালার। একজন লিখেছেন, “ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা – একটা ফাঁদের মতো মনে হয়! গ্রেটার কৈলাস কলোনির Locus Lounge & Café Bar-এ জঘন্য অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানকার পরিবেশ কীরকম অন্ধকার-অন্ধকার, অস্বস্তিকরও বটে! এর থেকেও খারাপ দিক রয়েছে। এখানে ফাঁদ পাতার মতো ব্যবসা চালানো হয়। আমার সঙ্গে বর্ষা নামে একটি মেয়ে কথা বলতে এসেছিল। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম যে, ওই মেয়েটা এদের চক্রেরই অংশ। আমার কোনও অনুমতি ছাড়াই বিলে দামি দামি আইটেম ঢোকানো হয়েছিল, এমন সব পানীয় দেওয়া হয়, যা আমি অর্ডার করিনি কিংবা এমন সব খাবার, যা কোনও দিন খাওয়ার সুযোগ হয়নি। আর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। চূড়ান্ত বিলটা ছিল অত্যন্ত আপত্তিকর।”