এর আগে শর্মিষ্ঠা চাকরি করতেন ব্রিটিশ কাউন্সিলে৷ কিন্তু নিজেই কিছু করবেন বলে চাকরি ছেড়ে দেন৷ তাঁর কথা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খন্না৷ শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘আমি কৌতূহলী হয়ে তাঁকে এরকম কাজ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম৷ তিনি জানান তাঁর একদিন বড় সংস্থার কর্ণধার হওয়ার ইচ্ছে আছে৷’’
advertisement
আরও পড়ুন : ভাত, নুন আর দুধ হাত থেকে মাটিতে পড়লেই সংসারের ঘোর অমঙ্গল! জানুন এখনই
শর্মিষ্ঠার বান্ধবী ভাবনা রাও চাকরি করেন লুফৎহনসা উড়ান সংস্থায়৷ এই ছোট্ট চায়ের দোকানের যৌথ কর্ণধার তিনিও৷ এছাড়াও দোকানের আনুষঙ্গিক কাজে সাহায্য করেন শর্মিষ্ঠার গৃহ সহায়িকা৷ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খন্নার কথায় ছোট বা বড় চাকরি বলে কিছু হয় না৷ অন্যদের উদ্দীপ্ত করার জন্য মানুষের নিজের সবার আগে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা প্রয়োজন৷ স্বপ্নকে সফল করে তোলার জন্য ইচ্ছাশক্তি দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন৷
উচ্চশিক্ষিত যুবক যুবতী যাঁরা চাকরি চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাঁদের কাছে শর্মিষ্ঠা আদর্শ হয়ে উঠতে পারেন বলে মত প্রাক্তন সেনা অফিসার সঞ্জয়ের৷ তিনি মনে করেন ছোট বড় বলে কাজের কিছু হয় না৷ উচ্চশিক্ষিত হয়ে এই ধরনের কাজ করা যাবে না, এমন ধারণারও বিরোধী তিনি৷ তিন দিন আগে করা তাঁর পোস্টে এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি লাইক এসেছে৷ ৯১৮ টি মন্তব্যের পাশাপাশি আছে ৬১৫ টি রিপোস্ট৷ নেটিজেনদের ছুঁয়ে গিয়েছে শর্মিষ্ঠা ও ভাবনার লড়াই৷ গোপীনাথ বাজারে তাঁদের দোকানে যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷