গত ২০ অগাস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে সিভিল লাইনসে ক্যাম্প অফিসে একটি জন আদালতের শুনানির সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপরে হামলা চালান গুজরাতের রাজকোটের ৪১ বছর বয়সি অটো রিকশচালক রাজেশ৷ চুলের মুঠি ধরে চড় মারা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে৷
advertisement
পুলিশ তখনই রাজেশকে গ্রেফতার করে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (BNS) ধারা ১০৯(১) (হত্যার চেষ্টা), ১৩২ (সরকারি কর্মচারীর উপর হামলা) এবং ২২১ (সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা) এর অধীনে মামলা দায়ের করে।
তদন্তে জানা যায় যে, রাজেশ আগে থেকেই আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। ১৯ অগাস্ট অর্থাৎ, ঘটনাক আগের দিন গুজরাত থেকে দিল্লিতে পৌঁছে সিভিল লাইনসের গুজরাটি ভবনে রাত কাটিয়েছিলেন। হামলার আগে, তিনি শালিমার বাগের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের একটি রেকি-ও করেছিলেন এবং সেই জায়গার একটি ভিডিও তৈরি করে তাহসিনকে পাঠিয়েছিলেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে ২৪ ঘণ্টা আগে রাজেশকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশেপাশে দেখতে পেয়েছিল।
পুলিশের মতে, দিল্লি-এনসিআর-এর আশ্রয়কেন্দ্রে বেওয়ারিশ কুকুরদের স্থানান্তরের সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজেশ প্রথমে সুপ্রিম কোর্টকে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনা করেছিলেন। অভিযুক্ত রাজেশ এবং তাহসিন উভয়ই কুকুর পছন্দ করেন। তবে, সুপ্রিম কোর্টে কঠোর নিরাপত্তার কারণে, রাজেশ তাঁর মন বদল করেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে রেখা গুপ্তাকে আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন:‘মোদির ডিগ্রি দেখান…,’ তথ্য কমিশনের সেই নির্দেশ বাতিল করল দিল্লি হাইকোর্ট
জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাহসিন জানায় যে রাজেশ তাঁকে বলেছিল যে তাকে বড় কিছু করতে হবে এবং তার পথে আসা কাউকেই সে রেহাই দেবে না। তাহসিন গুগল পে-এর মাধ্যমে রাজেশকে ২০০০ টাকা পাঠিয়েছিল যা হামলার পরিকল্পনায় আর্থিক সহায়তা বলে মনে করা হয়। হামলার আগে এবং হামলার সময় তারা দুজনেই নিয়মিত যোগাযোগে ছিল।
পুলিশ রাজেশকে গুজরাটি ভবন, নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন এবং সিভিল লাইনস এলাকায় নিয়ে যায় যেখানে সে ছুরি ছুঁড়েছিল তা শনাক্ত করতে। পুলিশ এখন ছুরিটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে, যা মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে।
রাজেশের অপরাধমূলক ইতিহাসও প্রকাশ্যে এসেছে। গুজরাত পুলিশের রেকর্ড অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মদ চোরাচালান এবং হামলা সহ পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বম্বে পুলিশ আইনের অধীনে ২০২১ সালে তাকে গুজরাট থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল।