National News: ‘মোদির ডিগ্রি দেখান...,’ তথ্য কমিশনের সেই নির্দেশ বাতিল করল দিল্লি হাইকোর্ট

Last Updated:

শুনানির সময়, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দেন যে সিআইসির আদেশ বাতিল করা উচিত৷ কারণ, তা "গোপনীয়তার অধিকার"-এর পরিপন্থী। তবে মেহতা বলেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে মোদির ডিগ্রি সম্পর্কিত রেকর্ড দেখাতে ইচ্ছুক কিন্তু তথ্য অধিকার আইনের অধীনে "অপরিচিতদের দ্বারা তদন্তের" জন্য তা প্রকাশ করতে পারে না।

News18
News18
নয়াদিল্লি: ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই সংক্রান্ত নথি চাক্ষুষ করতে চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনে একের পর এক মামলা হয়েছে৷ সেইরকমই একটি মামলার প্রেক্ষিত সোমবার বড় নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বিচারপতির বেঞ্চ৷ যাতে স্বস্তিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷
দিল্লি হাইকোর্টে বড় জয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের৷ আর জানাতে হবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পড়াশোনা ও ডিগ্রি সংক্রান্ত খুঁটিনাটি এবং কাগজপত্র৷ সম্প্রতি জাতীয় তথ্য কমিশন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে প্রধানমন্ত্রীর স্নাতক ডিগ্রি সংক্রান্ত নথিপত্র সামনে আনা হয়৷ সোমবার জাতীয় তথ্য কমিশনের সেই নির্দেশ বাতিল করল দিল্লি হাইকোর্ট৷
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তির শিক্ষা সংক্রান্ত নথি, তাঁর ডিগ্রির রেজাল্ট এবং তাঁর নম্বর সংক্রান্ত নথি তথ্যের অধিকার আইনের ৮(১)(জে) ধারা অনুযায়ী ‘ব্যক্তিগত তথ্যে’র আওতায় পড়ে৷
advertisement
advertisement
সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের বিধান অনুসারে ফলাফল/মার্কশিট শিক্ষার্থী/ছাত্রীদের কাছে প্রকাশ করা উচিত, জনসাধারণের কাছে নয়।
বিচারপতি দত্তা জানিয়েছেন, ‘‘যতদূর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি, ফলাফল, মার্কশিট ইত্যাদির বিবরণ/বিষয়বস্তু (যা বিতর্কিত RTI আবেদনের বিষয়বস্তু) সম্পর্কিত তথ্য/তথ্যের ক্ষেত্রে, RTI আইনের ধারা 8(1)(j) অনুসারে বিষয়টি সন্দেহের বাইরে রাখা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, এই ধরনের তথ্য/তথ্য নিঃসন্দেহে “ব্যক্তিগত তথ্য”৷’’
advertisement
এদিনের নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, “আমাদের পরিকাঠামো কোনও তৃতীয় পক্ষের কাছে নম্বর/গ্রেড প্রকাশের অনুমতি দেয় না। শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক রেকর্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আস্থা৷”
শুনানির সময়, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দেন যে সিআইসির আদেশ বাতিল করা উচিত৷ কারণ, তা “গোপনীয়তার অধিকার”-এর পরিপন্থী। তবে মেহতা বলেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে মোদির ডিগ্রি সম্পর্কিত রেকর্ড দেখাতে ইচ্ছুক কিন্তু তথ্য অধিকার আইনের অধীনে “অপরিচিতদের দ্বারা তদন্তের” জন্য তা প্রকাশ করতে পারে না।
advertisement
নীরজ নামে জনৈক ব্যক্তির একটি আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (সিআইসি) ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ সালে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীর রেকর্ড পরিদর্শনের অনুমতি দেয় – যে বছর প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি সিআইসির আদেশ স্থগিত করে।
advertisement
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় বা ডিইউ সিআইসি অর্থাৎ, তথ্য কমিশনের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায়৷ তাদের যুক্তি ছিল যে, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিশ্বস্ততার সূত্রে তারা তাঁদের কোনও ডিগ্রির নথি বা নম্বর তৃতীয় ব্যক্তিকে শুধুমাত্র তাঁর ‘কৌতুহল চরিতার্থ’ করার জন্য দিতে পারে না৷
এর আগে, তথ্য অধিকার আবেদনকারীদের আইনজীবী সিআইসির আদেশের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইনে বৃহত্তর জনস্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত তথ্য প্রকাশের বিধান রয়েছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
National News: ‘মোদির ডিগ্রি দেখান...,’ তথ্য কমিশনের সেই নির্দেশ বাতিল করল দিল্লি হাইকোর্ট
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement