ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, চৈতন্যানন্দ স্বামী নম্বর কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করত। গভীর রাতে ছাত্রীদের নিজের ঘরে ডেকে পাঠাত এবং নিজেকে “ইন্টারন্যাশনাল পার্সন” বলে পরিচয় দিয়ে ভাল চাকরি বা প্লেসমেন্টের প্রতিশ্রুতি দিত।
তাঁর বিরুদ্ধে ১৭ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধিকর্তা, ৬২ বছর বয়সি এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে রবিবার ভোররাতে আগ্রার হোটেল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই জঘন্য কাজের পর্দাফাঁস হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ অগাস্ট দিল্লির বসন্তকুঞ্জ থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের তদন্তের পর অবশেষে অভিযুক্তকে আগ্রা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এখন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মনে করা হচ্ছে, তদন্ত যত এগোবে, আরও বিস্ময়কর ও ভয়াবহ তথ্য সামনে আসতে পারে।
জানিয়ে রাখা ভাল, তার বিরুদ্ধে ওড়িশাতেও যৌন হেনস্থার দুটি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। প্রথম মামলা দায়ের হয়েছিল ২০০৯ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৬ সালে। তিনি দিল্লির একটি নামী আশ্রমে নিজের জঘন্য কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই আশ্রমেই তিনি কেয়ারটেকার এবং পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন।
চৈতন্যানন্দ বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা ছাত্রীদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, বাবা তাদের ক্রমাগত ব্ল্যাকমেইল করছিল। একই সঙ্গে, যদি তারা কিছু বলে বা প্রকাশ করে, তাহলে তার পরিণাম ভোগ করতে হবে—এই ধরনের হুমকিও দিচ্ছিল।
আরও পড়ুন- ভয়াবহ দুর্ঘটনা! সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা থারের, দলা পাকিয়ে গেলেন ৫ যাত্রী! র*ক্তে ভাসল এলাকা
জানিয়ে রাখা দরকার, অভিযুক্ত বাবা চৈতন্যানন্দ একজন খ্যাতনামা অধ্যাপক, লেখক, শিক্ষাবিদ ও বক্তা হিসেবে পরিচিত। তিনি শিকাগো ইউনিভার্সিটির বুথ স্কুল অফ বিজনেস থেকে এমবিএ এবং পিএইচডি করেছেন। এছাড়াও তিনি একাধিক পোস্ট-ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তিনি ৭টি সাম্মানিক ডি-লিট (D.Litt) উপাধি পেয়েছেন।