তবে যাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে ছিলেন সাইরাস শেষ পর্যন্ত, সেই টাটা সন্সের কোনও সিনিয়র আধিকারিককে দেখা যায়নি এদিন ৷ সাইরাসের দাদা শাপুর মিস্ত্রি, শ্বশুর তথা সিনিয়র আইনজীবী ইকবাল চাগলা, শিল্পপতি অনিল অম্বানি, অজিত গুলাবচন্দ, দীপক পারেখ, বিশাল কাম্পানি, অন্ত্রপ্রনর রনি স্ক্রুওয়ালা, স্থপতি হাফিজ কন্ট্রাক্টর, এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে ও প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ মিলিন্দ দেওরা উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত শিল্পপতির শেষকৃত্যে ৷
advertisement
আরও পড়ুন : মাথায় আঘাত থেকে রক্তক্ষরণ, দেহে একাধিক আঘাত, আর যা যা জানা গেল সাইরাস মিস্ত্রির অটোপ্সি রিপোর্টে
মঙ্গলবার সকালে জেজে হাসপাতাল থেকে সাদা ফুলে ঢাকা সাইরাসের মরদেহ আনা হয় অন্ত্যেষ্টিস্থলে ৷ কিছু ক্ষণ তাঁর দেহ শায়িত ছিল প্রিয়জনদের জন্য ৷ তাঁরা বিদায় জানানোর পাশাপাশি পারিবারিক পুরোহিত পার্সি রীতিনীতি মেনে প্রার্থনা করেন ৷ এর পর পূর্বনির্ধারিত সময় মেনে দুপুরের আগেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য ৷
আরও পড়ুন : চালকের আসনে ছিলেন নামী মহিলা চিকিৎসক, সাইরাসের সঙ্গে মার্সিডিজে ছিলেন তাঁর পারিবারিক বন্ধুরা
প্রসঙ্গত রবিবার ৫৪ বছর বয়সি সাইরাস মিস্ত্রি গুজরাতের উড়ওয়াড়া থেকে মুম্বই ফেরার পথে মহারাষ্ট্রের পালঘরে প্রয়াত হন পথ দুর্ঘটনায় ৷ তাঁরা যে মার্সিডিজে ছিলেন, দুর্ঘটনার অভিঘাতে তা তুবড়ে যায় ৷ সাইরাসের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের পারিবারিক বন্ধু জাহাঙ্গির ও দারায়ুস পন্ডোলে এবং দারায়ুসের স্ত্রী তথা নামী স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অনহিতা পন্ডোলে ৷ গাড়ি চালাচ্ছিলেন ৫৫ বছর বয়সি অনহিতা ৷ মার্সিডিজের সামনের আসনে তাঁর পাশে ছিলেন স্বামী দারায়ুস ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনেরই চিকিৎসা চলছে ৷ গাড়ির পিছনের আসনে থাকা সাইরাস এবং জাহাঙ্গির প্রয়াত হয়েছেন দুর্ঘটনায় ৷