সূত্রের খবর, সরীসৃপের আক্রমণে নিহত শিশুটির নাম অঙ্কিত কুমার। সে গোকুলপুর গ্রামের ধর্মেন্দ্র দাসের পুত্র। বিহারের বৈশালীর রাঘোপুর দিয়ারার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কিত কুমারের পরিবার একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনেছিল। সেটিকে পুজো দেওয়ার করার জন্য গঙ্গাজল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের সদস্যরা যখন নদীতে স্নান করছিল, তখন কুমির অঙ্কিতকে আক্রমণ করে, তাকে জলের নীচে টেনে নিয়ে যায় এবং জীবিত অবস্থায় খেয়ে ফেলে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সৌন্দর্যের নতুন ঠিকানা! গরমে ঘুরে আসুন ‘এই’ হিল স্টেশনে, জুড়াবে শরীর ও মন
এক ঘন্টা পরে যখন পরিবার অঙ্কিতের দেহাংশ গঙ্গা থেকে বের করে আনে, তখন নদীর তীরে ভিড় জমে যায়। তারপর, পরিবার এবং লোকজন কুমিরটিকে লাঠি এবং রড দিয়ে মারতে শুরু করে। সরীসৃপটি মারা যাওয়া পর্যন্ত তাঁরা মারা থামায় না। ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে বিশাল কুমিরটিকে একদল পুরুষ জল থেকে টেনে নিয়ে আসছে নদীর পারে। তারপরে লাঠি ও রড দিয়ে কুমিরটিকে মারতে যায়।
খবর পেয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। তাঁরা জানান, কুমিরের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈশালী জেলার ফরেস্ট অফিসার, অমিতা রাজ সাংবাদিকদের বলেন ‘আমরা খবর পেয়েছি যে একটি কুমির মারা গেছে। কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের জন্য লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নদীর জলের স্তর কম থাকায় ঘাটের কাছে কুমিরটি চলে এসেছিল, যার ফলে এই মর্মান্তিক ঘটনা। শিশুটির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।