দীর্ঘ এক ঘন্টার শুনানিতে বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন ইডিকে প্রশ্ন করেন, আসানসোল সংশোধনাগারে জেরা করলে অসুবিধা কী? তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগ করা হয় ইডির পক্ষ থেকে। দিল্লিতে এনে জেরা করলেই বা অসুবিধা কী? প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তাতে আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে, দাবি সায়গলের আইনজীবীর।
আরও পড়ুন: 'ব্যথিত হই', দলের নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে আক্ষেপ সৌগত রায়ের! ভাইরাল হল ভিডিও
advertisement
এরপরই বিচারপতি বলেন, ''আমি আইনি জটিলতায় যেতে চাই না, এখানে তদন্ত বেশি জরুরি।'' আজকের মত শুনানি মুলতুবি হওয়ার পর আগামিকাল ফের শুনানি হবে এবং তারপর রায়দানের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সায়গলকে প্রথমে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দিল্লিতে জেরা করার আর্জি জানিয়ে আসানসোল আদালতে আবেদন করে ইডি। কিন্তু সেই সময় বিচারক ইডির আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে।
আরও পড়ুন: দু' দশক পরে গান্ধি পরিবারের বাইরে কংগ্রেসের সভাপতি কে? জানা যাবে আজ
আসানসোলের পর নিজেদের হেফাজতে পেতে কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করে ইডি। শুনানির প্রথম পর্বে ধাক্কা খায় তারা। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন করেন, সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে কেন? শুনানির শুরুতে ধাক্কার পর সবশেষে অনুব্রত দেহরক্ষীকে নিজেদের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট ইডি-র পক্ষে রায় দেওয়ার পরই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সায়গল।