সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো সতর্কতামূলক পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য)-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। দেশের করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি এই বৈঠকে সংক্রমণের সম্ভাব্য স্ফীতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ! প্রতিদিনই সামনে আসছে পজিটিভ কেস, জারি সতর্কতা
সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি আতঙ্ক নয়, সতর্কতায় জোর দিয়েছেন। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঠেকানো থেকে শুরু করে, নিয়ম কানুন মেনে চলা, পরামর্শ দিয়েছেন একাধিক বিষয়ে। বৈঠকের পর কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে বৈঠকে টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট, ভ্যাকসিনেশন এবং কোভিড উপযুক্ত আচরণের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল গুলিতে মক ড্রিলের কথা বলা হয়েছে। কী কী করণীয়, সতর্কতা মেনে চলার পাশাপশি আলোচনা হয়েছে সম্ভাব্য সংক্রমণ বৃদ্ধির হারের মোকাবিলা নিয়ে।
আরও পড়ুন: গোটা গ্রাম মিলে গায়ে হলুদ-ডিজে-কব্জি ডুবিয়ে ভোজ, ৫০ বছর ধরে সুরজপুরে এভাবেই বিয়ে করে পুতুলরা!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে, বুধবার ১,১৩৪টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। ৫ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে (ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং কেরলে ১ জন করে)। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০২৬। এই পরিস্থিতিতে চিনে করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ 'বিএফ.৭'-এর 'সক্রিয়তা' বাড়ার ঘটনাতেও চিন্তা রয়েছে কেন্দ্রের। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে মাস্ক পরা-সহ বিভিন্ন করোনাবিধি চালু করা এবং পরীক্ষা বাড়ানো এবং জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের বিষয়টি নিয়ে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।