যদিও যুক্তরাষ্টের সরকারের দ্বারা সম্প্রতি একটি সমীক্ষা পরিচালিত হওয়ার পর তার যে সমীক্ষাপত্র সেন্টারস অফ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনে প্রকাশিত হয়েছে, তা কিন্তু এ বার আঙুল তুলছে পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের দিকে। জানাচ্ছে যে কোনও পরিবারে যদি একজন সদস্যও কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হন, তা হলে তাঁর থেকে পরিবারের অন্তত অর্ধেকেরও বেশি সদস্য সংক্রমিত হয়ে পড়ছেন!
advertisement
জানা গিয়েছে যে ১৪ দিন ধরে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল ন্যাশভিল, টেনেসি এবং মার্শফিল্ডের ১৯১টি পরিবারকে নিয়ে। এই পরিবারগুলিতে মোট ১০১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগীকে সমীক্ষার শুরুতে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়মিত শারীরিক অবস্থার এক ধারাবিবরণী রাখতে বলা হয়েছিল। তা থেকে দেখা গিয়েছে যে প্রথম যখন এই সব পরিবারে করোনারোগীর অস্তিত্ব ধরা পড়ল, তখন অন্য সদস্যরা সংক্রমিত হননি। কিন্তু এর ঠিক পরের ধাপে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ৫৩ শতাংশ!
সমীক্ষায় এটাও দেখা গিয়েছে যে সব পরিবারে প্রথম চিহ্নিত করোনারোগীর বয়স ১৮ বছরের উপরে, তাঁদের থেকে অন্যদের সংক্রমণের হার ৫৭ শতাংশ। অন্য দিকে, যে সব পরিবারে প্রথম চিহ্নিত করোনারোগীর বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাঁদের থেকে অন্যরা সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ শতাংশ হারে! যদিও বয়স কম হলে সংক্রমণের হার কেন কম হচ্ছে, তা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি সমীক্ষকরা!
তবে এটুকু বুঝে নিতে অসুবিধে নেই যে প্রথম চিহ্নিত করোনারোগীর সঙ্গে একই বাড়িতে অন্যরা থাকছেন বলে তাঁরাও সংক্রমিত হচ্ছেন! এই জায়গায় এসে সমীক্ষা যতই বিদেশের হোক না কেন তা আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। কেন না, ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে অনেক পরিবারেই সদস্যদের জন্য আলাদা ঘর থাকে না!
তা হলে?
