এবার জানা গিয়েছে, বিহারে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে সে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়াল ৫১। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৭ হাজার ২০৮ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিহারে হানা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আর নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন না, দেশে ফের করোনার খেলা শুরু! ভয়ঙ্কর রিপোর্ট প্রকাশ্যে
advertisement
রাজধানী পটনায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিহারে ১৩টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা জানা গিয়েছিল। এর মধ্যে পটনা ও গয়ায় ছটি করে এবং সমস্তিপুর জেলায় একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সমস্ত নমুনাই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এবং ভাইরাসের বিস্তার কমানোর মূল চাবিকাঠি হল টিকা, এমনই জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। যাঁরা করোনার বুস্টার ডোজ নেননি, তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ডোজ নেওয়া উচিত বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রিকশচালক থেকে স্টার্ট আপ মালিক, আইআইটি এবং আইআইএম উত্তীর্ণদের চাকরি দেন এই কোটিপতি
পাশাপাশি মাস্ক এবং নানা ধরনের পরিচ্ছন্নতা মূলক ব্যবস্থা আবার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অনেক জায়গায় মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মাস্ক, ভ্যাকসিন এবং সামাজিক দূরত্ব করোনা থেকে বাঁচার সব থেকে ভাল উপায়।
বিপজ্জনক নয় নতুন প্রজাতি
IGIMS সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মণীশ মণ্ডল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন রূপটি হল XBB.1.16 ৷ এটি এখনও খুব বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে না।’ তবে যাঁরা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও হার্টের রোগে ভুগছেন তাঁদের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে এই প্রজাতিটি মূলত গলা পর্যন্তই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। শরীরের খুব বেশি ক্ষতিও করে না। কিন্তু ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি, গলা ব্যথা, হালকা জ্বর, গায়ে হাতে পায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রায় ৬ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত তা স্থায়ী হতে পারে। অসুস্থতার সমস্ত লক্ষণ কাটিয়ে উঠতে প্রায় মাসখানেক সময় লাগতে পারে।