করোনার চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ ঋণ নেওয়া হয়েছে, সেই তথ্য সকলের সামনে উঠে এসেছে আরটিআই আবেদনের ভিত্তিতে। এই আবেদনের ভিত্তিতে সামনে এসেছে করোনা চিকিৎসার জন্য কোন ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
আরও পড়ুন: মিউটেশন বিপজ্জনক! করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কে বিশেষজ্ঞরা
advertisement
ব্যাঙ্ক ঋণগ্রহীতা ঋণের পরিমান সুদের হার
ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র ১৬৬ ৪,০১৫ ৮.৫০
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ১৭৩১ ২৭.১ ৯.৫
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ১৪ ০.৫৩৫ -
ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক ১৩৭ ৩.২৬ ৮.৫
পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক ১৩৪ ২.৯২ ৮.৫
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ৮৮৯ ২৩.৩৯ ৮.৫
ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক ১,৬৪,৯৯০ ৩,৩২৬ ৮.৫
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৭৩৪ ২৭.৬৫ ৮.৫
ইউকো ব্যাঙ্ক ৭৬৯ ৯.৪৬ -
কানাড়া ব্যাঙ্ক ৬৮,৮০৫ ৭৭২.১৪ ৮.৭
এই তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে যে প্রায় ২,৩৮,৩৬৯ জন করোনার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪১,৯৬,৪৮,৮৪,৩০৭ টাকার ঋণ নিয়েছেন। এই ঋণের সুদের পরিমাণ হল ৮.৫ শতাংশ থেকে ৯.৫ শতাংশ। এর মধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণে ঋণ দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া করোনার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১,৬৪,৯৯০ জনকে ঋণ দিয়েছে ৮.৫ শতাংশ সুদে।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে নাকে দেওয়া স্প্রে-ই কি কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ হিসেবে কাজ করবে? জানুন বিশদে
এর থেকেই পরিষ্কার, করোনার প্রভাব কতটা আঘাত ফেলেছে মানুষের জীবনে। নিজেদের পরিবারের লোকজনকে, নিজেদের প্রিয়জনকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া হয়েছে ঋণ। এই সকল ব্যাঙ্ক ছাড়াও অন্যান্য বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেও বেশি সুদে নেওয়া হয়েছে ঋণ। করোনার হাত থেকে নিজেকে এবং নিজের প্রিয়জনকে বাঁচাতে মানুষ বাধ্য হয়েছে চড়া সুদে ঋণ নিতে। এর ফলে অনেকেই এখনও সেই ঋণের দেনায় ডুবে রয়েছেন। যে তথ্যটি সকলের সামনে এসেছে সেটি শুধুমাত্র ২০২১ সালের মে মাস থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ করোনার চিকিৎসার জন্য আরও অনেক বেশি পরিমাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে, যে পরিসংখ্যানটা চমকে দেওয়ার মতো!