আরও পড়ুন : গোয়ায় খারাপ ফল, হবে ময়নাতদন্ত! কী সিদ্ধান্ত নিলেন অভিষেক?
ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee Meeting) বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে কেসি বেণুগোপাল বলেন, "২০২২, ২০২৩ পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তত কংগ্রেস।" বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দলের পক্ষে উদ্বেগের বলে জানানো হয়েছে সাংবাদিক সম্মেলনে। পাঞ্জাবে দল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেনি বলে মেনে নিয়েছে কংগ্রেস। তবে আগামী দিনে সেই সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে দলের তরফে।
advertisement
উপযুক্ত কৌশল এবং লাগাতার দলীয় নানান সমস্যার কারণেই বিধানসভা নির্বাচনে ফল খারাপ হয়েছে বলে মেনে নেন কেসি বেণুগোপাল এবং রণদীপ সুরজেওয়ালা। প্রায় ৫ ঘণ্টা বৈঠকের পর ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য কে সি বেণুগোপাল জানান, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের অধিবেশন শেষ হলেই বসবে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। তবে তার আগে ফের একবার বৈঠকে বসবে দলের ওয়ার্কিং কমিটি। সেখানেই দলের সাংগঠনিক সংস্কার সহ এবং কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন : ফের 'আত্মনির্ভরতায়' জোর মোদির! উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
যদিও এদিনের ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee Meeting) বৈঠকে রাহুল গান্ধিকেই (Rahul Gandhi) কংগ্রেসের সভাপতি পদের দায়িত্ব নেওয়ার জোরালো দাবি ওঠে। সকালে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া সময় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেন, রাহুল গান্ধির উচিত কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া। একইসঙ্গে বৈঠক চলাকালীনও একই দাবিতে সরব হন তিনি। তাঁর সঙ্গেই গলা মেলান অজয় মাকেনের মতো গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতারা। ফলে এদিনের বৈঠকেও স্পষ্ট, গান্ধি পরিবারের ছায়া থেকে এখনই বের হতে পারবে না শতাব্দী প্রাচীন দলটি।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে জি-২৩ গোষ্ঠীর এক নেতা জানান, এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া তাঁদের কাছে কোনও বিকল্প ছিল না। এদিনের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নেতারা।