অবশেষে আয়কর তল্লাশির দশ দিন পর মুখ খুললেন ধীরজ সাহু৷ দাবি করলেন, যে অর্থ বেআইনি বলে অভিযোগ করে আয়কর দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে, তা সরাসরি তাঁর নয়৷ রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদের আরও দাবি, তাঁর পরিবারও ব্যবসার দেখাশোনা করে৷ ফলে যে অর্থ উদ্ধার হয়েছে তা যে সংস্থাগুলিতে আয়কর অভিযান চলেছে, সেই সমস্ত সংস্থারই টাকা৷ একই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ স্পষ্ট করেছেন এই টাকার সঙ্গে কংগ্রেস অথবা কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ নেই৷
advertisement
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে গাড়ির চাকায় পিষে দিল উচ্চপদস্থ আমলার ছেলে! মহারাষ্ট্রে মারাত্মক অভিযোগ
গত ৬ ডিসেম্বর থেকে বউধ ডিস্টিলারি প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযানে নামে আয়কর দফতর৷ ওই সব সংস্থারই মালিকানা রয়েছে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহু এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে৷ ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে একযোগে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা৷ আয়কর দফতর দাবি করেছে, স্বাধীনতার পর ভারতে একসঙ্গে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ কোনও অভিযানে উদ্ধার হয়নি৷
এই অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় স্বভাবতই দুর্নীতি ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করে বিজেপি৷ এমন কি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছা়ড়েননি৷
তার উপর অভিযুক্ত সাংসদ ধীরজ সাহু মুখ না খোলায় কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়ছিল৷ সাহু অবশ্য সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, তিনি প্রায় ৩৫ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছেন৷ কিন্তু এই প্রথমবার তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠল৷ কংগ্রেস সাংসদের কথায়, ‘আমি খুবই ব্যথিত৷ আমি জোর দিয়ে বলতে পারি সব টাকাই আমার সংস্থা থেকে উদ্ধার হয়েছে৷ আমরা প্রায় ১০০ বছর ধরে মদ তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত৷ আমি রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকি এবং ব্যবসায় সেভাবে নজর দিই না৷ আমার পরিবারের সদস্যরাই ব্যবসার দেখাশোনা করে৷ আমি শুধুমাত্র মাঝেমধ্যে সব ঠিকঠাক চলছে কি না খোঁজ নিয়ে নিতাম৷’
কংগ্রেস সাংসদের দাবি, তাঁরা ছয় ভাই৷ পরিবারও অনেক বড়৷ তাঁর বাকি পাঁচ ভাই এবং তাঁদের সন্তানরা মিলেই ব্যবসার বিভিন্ন দিক দেখাশোনা করেন৷ তবে তাঁদের ব্যবসা একেবারেই স্বচ্ছ বলে দাবি করেছেন সাহু৷
সাহুর দাবি, যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে তা আসলে মদ বিক্রি করে পাওয়া৷ কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নগদে মদ কেনাবেচা হয়৷ ফলে ওই টাকার সঙ্গে কংগ্রেস অথবা অন্য কোনও দলের যোগ নেই৷ কংগ্রেস সাংসদ জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও প্রয়োজনে আয়কর দফতরের প্রশ্নের উত্তর দেবেন৷ তাঁরা আয়কর দফতরকে সবরকম সহযোগিতা করতেও তৈরি বলে দাবি করেছেন সাহু৷