আরও পড়ুন- "আমি মাটির মেয়ে": বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়ে অভিভূত দ্রৌপদী মুর্মু!
গত ২ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন সনিয়া গান্ধি। ওই নির্দিষ্ট মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছে আরও সময় চেয়েছিলেন তিনি। গত ৮ জুন তাঁর ইডির সামনে হাজির হওয়ার কথা ছিল। আরও সময় চাওয়ার অনুরোধে রাজিও হয় ইডি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ১২ জুন স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সনিয়া গান্ধিকে।
advertisement
অন্যদিকে, পাঁচদিনে প্রায় ৫৫ ঘণ্টা ইডির জেরার মুখে পড়তে হয়েছে সনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধিকে। মঙ্গলবারও গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে জেরা পর্ব। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদকে।
আরও পড়ুন- "লাইব্রেরি যাও, খবরের কাগজ পড়ো": পড়ুয়াদের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের!
বুধবার একটি জনসভায় অংশ নিয়ে রাহুল বলেন, “ইডি-ফিডিতে আমি ভয় পাই না। পাঁচবার কেন, আমাকে যতবার ডাকা হবে, ততবার যাব। কংগ্রেস এই জিজ্ঞাসাবাদে ভয় পায় না।” ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি৷ কংগ্রেসের মুখপাত্র ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র যে সংস্থা চালাতো, সেই এজেএল-কে অধিগ্রহণ করে ইয়ং ইন্ডিয়ান৷ ইয়ং ইন্ডিয়ান এজেএল-এর প্রায় ৮০০ কোটির সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে বলে দাবি আয়কর দফতরের৷ তাদের অভিযোগ, এর জন্য ইয়ং ইন্ডিয়ানের শেয়ার হোল্ডার রাহুল এবং সনিয়া গান্ধিকে কর দিতে হবে৷ কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়ান একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান৷ ফলে এই সংস্থার সম্পদ থেকে শেয়ার হোল্ডারদের কোনও আর্থিক লাভ হয় না৷
ইডি’র অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়ান সংস্থা কোনও সমাজসেবামূলক কাজ করেনি৷ শুধুমাত্র এজেএল-এর ঋণ পরিশোধ করেছে৷ কংগ্রেসের পালটা যুক্তি, সংবাদপত্র চালানোটাই সমাজসেবার মধ্যে পড়ে৷ আয়কর দফতরে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে৷