অসমসাহসী দীপক জানায়, প্রথমে তাকে কামড়ায় সাপটি৷ তার পর তার ডান হাত পেঁচিয়ে ধরে৷ সাপের ছোবলের তীব্র যন্ত্রণার কথাও জানিয়েছে সে৷ সাপটিকে হাত থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল দীপক৷ কিন্তু পারেনি৷ তার পর বাধ্য হয়ে সে দু’বার কামড়ায় কেউটেকেই৷ পুরো ঘটনাই হয়ে গিয়েছে চোখের পলকের নিমেষে৷
দীপকের কথায়, ‘‘সাপটা আমার হাতকে পেঁচিয়ে ধরে ছোবল দেয়৷ আমার খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল৷ আমি হাত ঝেড়ে সাপকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করি৷ কিন্তু সেটা যায়নি৷ তার পর আমি সাপের গায়ে দুবার কামড় দিই৷ সবটাই ঘটে চোখের নিমেষে৷’’
advertisement
আরও পড়ুন : জীবন বার বার দাঁড় করিয়েছে মৃত্যুর মুখোমুখি, সংগ্রামের প্রথম দিন থেকেই ঐন্দ্রিলা মৃত্যুঞ্জয়ী
এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি দীপককে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার বাড়ির লোক৷ চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টি স্নেক ভেনম প্রতিষেধক দেন তাকে৷ তার পর একদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রেখে দীপককে বাড়িতে পাঠানো হয়৷ জানিয়েছেন ব্লকের মেডিক্যাল অফিসার জেমস মিঞ্জ৷
আরও পড়ুন : রবিবার ভারতকে হারালেই জিম্বাবোয়ের যুবককে বিয়ে, পাকিস্তানি অভিনেত্রীর ট্যুইট এখনই হাসির খোরাক
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে দীপকের মধ্যে সাপে কাটা রোগীর কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ ছিল না৷ সে দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠেছে৷ সর্প বিশেষজ্ঞ কাইজার হুসেন জানিয়েছেন, দীপকের ক্ষেত্রে ড্রাই বাইট হয়েছে৷ অর্থাৎ যেখানে বিষধর সাপ কামড়ায় কিন্তু কোনও বিষ বার হয় না৷ সেক্ষেত্রে শুধু ত্বকে দংশনের চিহ্ন থাকে৷ তবে যন্ত্রণা এই দংশনেও থাকে৷ প্রাণের ঝুঁকি অনেকটা এড়ানো যায়৷