ভারতীয় রেলের অধীনস্থ সংস্থা ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক চেম্বার অফ কমার্সে মামলা দায়ের করেছে চিনের রেলওয়ে সিগন্যালিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট। বরাত বাতিলের বিরোধিতায় প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিল চিনের সংস্থা।
উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে মোগলসরাই বা দিন দয়াল উপাধ্যায় স্টেশন পর্যন্ত ৪১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে সিগন্যাল এবং টেলিকম সিস্টেম তৈরির কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল চিনা সংস্থাকে। রেল মন্ত্রকের দাবি, ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং এর কাজের নকশা সম্পর্কিত কাগজপত্র দিতে রাজি হয়নি চিনা সংস্থা। রেলের আরও দাবি, মোট চার বছরে কাজের মাত্র ২০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই কারণেই বরাত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনও সংস্থাকে বরাত দিয়ে তাদের মাধ্যমে বকেয়া কাজ সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা মোদি, অনেক পিছনে বাইডেন- জনসনরা! দাবি সমীক্ষায়
এদিকে, চিনা সংস্থার তরফে তাদের বাজেয়াপ্ত হওয়া ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি, বাজেয়াপ্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুদ ছাড়াও কাজের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ করা কর্মী ও শ্রমিক বাবদ খরচ দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় রেলের তরফে পাল্টা চুক্তি বাতিল হওয়ার ফলে পাওনা টাকা ফেরত সহ একাধিক দাবি জানানো হয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন (DoT)-ও জানিয়ে দেয়, চিনা সংস্থা Huawei ও ZTE-র মতো কোম্পানির সঙ্গে ভবিষ্যতে পার্টনারশিপে কাজ করা হবে কিনা, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে৷ টেলিকম দফতরের এক সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল-কেও 4G নেটওয়ার্ক আপগ্রেডে চিনা সরঞ্জাম বর্জন করতে বলা হয়েছে৷
ন্যাশনাল রেলওয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউটকে ২০১৬ সালে ৪৭১ কোটি টাকার বরাত দিয়েছিল রেল৷ এই সংস্থাটি মূলত রেলের সিগনাল ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে কাজ করে৷ চুক্তি অনুযায়ী, কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালে৷ তবে প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ায় ২০২০ সালে চুক্তি বাতিল করা হয়।