ছত্তীসগড় হাইকোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ভার্মার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷ জানা গিয়েছে, তাঁর স্বামীর পুরুষত্বহীনতার সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেনওই ব্যক্তির স্ত্রী ৷ তার পরেই স্ত্রীর কুমারিত্ব পরীক্ষা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আর্জি জানান মহিলার স্বামী৷
রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, আবেদনকারী তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কুমারিত্ব পরীক্ষা করার যে আর্জি জানিয়েছেন তা অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার বিরোধী, যা কোনও মহিলার সম্ভ্রম রক্ষার অধিকার দেয়৷ কুমারিত্ব পরীক্ষার জন্য কোনও মহিলাকেই বাধ্য করা যায় না৷
advertisement
আরও পড়ুন: পাত্র একজন, আর পাত্রী? বিয়ের কার্ড খুলতেই বিরাট চমক, যুবকের কীর্তিতে থ সবাই
জানা গিয়েছে, নিজের স্বামীর কাছ থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা খোরপোষ চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী৷ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রায়পুরের পারিবারিক আদালতে এই মামলা করেন তিনি৷ সেই মামলা এখনও চলছে৷
২০২৩ সালে ওই দম্পতির বিয়ে হয়৷ কোরবা জেলায় নিজের শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন ওই মহিলা৷ কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে তাঁদের সম্পর্কে অবনতি হতে থাকে৷ ওই মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীর পুরুষত্বহীনতার সমস্যা রয়েছে৷ ফলে তাঁদের মধ্যে কোনও শারীরিক সম্পর্কই তৈরি হয়নি৷ স্বামীর সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করেন ওই মহিলা৷ পাল্ট ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গেই স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে৷ খোরপোষ মামলার পাল্টা আদালতে স্ত্রীর কুমারিত্ব পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানান ওই ব্যক্তি৷ যদিও সেই আর্জি খারিজ করে দেয় রায়পুরের পারিবারিক আদালত৷ এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি৷ তাঁর যুক্তি ছিল, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক প্রমাণ করতেই এই পরীক্ষা করা দরকার৷ কারণ তাঁর স্ত্রীই দাবি করেছেন, যে তাঁদের মধ্যে কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই৷