Read : চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডিং লাইভ | Chandrayaan-3 Landing Live Updates
১৪ জুলাই, ঠিক ২টো বেজে ৩৫ মিনিট৷ ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গিয়েছিল এক সুবর্ণ সময়৷ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান-৩৷ হয়েছিল সফল উৎক্ষেপণ৷ তার প্রায় এক মাস পরে গত বৃহস্পতিবার চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ সফলভাবে মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়৷
advertisement
আরও পডুন: যাদবপুর-কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৩, তিনজনই মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছিল ওই ছাত্রকে, ধৃত বেড়ে ১২
১৭ অগাস্ট, ভারতীয় সময় দুপুর ১টা নাগাদ চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ সফলভাবে মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়৷ আজ সফলভাবে ডি-বুস্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ল্যান্ডার৷ এরপর ২০ অগাস্ট ফের আরেক দফা ডি-বুস্টিং করা হবে৷ আগামী ২৩ অগাস্ট ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদের অবতরণ মেরু অঞ্চলে সফট ল্যান্ডিং করার কথা।
আরও পড়ুন: পায়খানা-বাথরুমও পরিষ্কার করতে হত ফার্স্ট ইয়ারদের, চলত দাদাদের ‘দাদাগিরি’ অলিখিত পরম্পরা
এছাড়া, গত বৃহস্পতিবার Lander Imager (LI) Camera-1 দিয়ে তোলা চাঁদের কিছু ছবিও শেয়ার করে ইসরো৷ প্রোপালশন মডিউল থেকে ল্যান্ডার বিক্রমের বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর পর এই ছবিগুলো তুলেছে বিক্রম৷
তার আগে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন Lander Position Detection Camera (LPDC) থেকেও কিছু ছবি তুলেছিল ল্যান্ডার বিক্রম, এদিন সেই ছবিগুলিও প্রকাশ করা হয়েছে৷
চন্দ্রযান-৩ এর কেন্দ্রে রয়েছে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট the Launch Vehicle Mark III (LVM3) অর্থাৎ, এলভিএম-৩৷ এই রকেটকে ভারতীয় রকেটের ‘বাহুবলী’ও বলা হয়৷ এই নিয়ে ষষ্ঠ বার এই রকেটের উৎক্ষেপণ করা হয়৷ যার সাফল্যের হার শতকরা ১০০ শতাংশ৷
এটির জ্বালানি ব্যবস্থা দ্বি-স্তর বিশিষ্ট৷ একটি কঠিন জ্বালানি এবং অপরটি তরল জ্বালানি। কঠিন জ্বালানি ১২৭ সেকেন্ড ধরে জ্বলে। উৎক্ষেপণের ১০৮ সেকেন্ডের মধ্যে জ্বলতে শুরু করে তরল জ্বালানি। তা ২০৩ সেকেন্ড ধরে রকেটটি চালনা করে বলে জানা যায়।
চন্দ্রযান -৩ -এ ল্যান্ডার, রোভার এবং একটি প্রোপালশন মডিউল ছিল৷ যার ওজন ৩ হাজার ৯০০ কেজি৷ প্রোপালশন মডিউলের ওজন ২ হাজার ১৪৮ কেজি৷ ল্যান্ডার মডিউলটি ১ হাজার ৭৫২ কেজি ওজনের৷ চাঁদের কক্ষের ১০০ কিমির ভিতরে প্রপালশন মডিউল ল্যান্ডারকে বহন করে নিয়ে গিয়েছে৷
রোভারের ওজন ২৬ কিলো, যা চন্দ্রযান ২-র প্রজ্ঞান রোভারের সমান ওজনের৷ কিন্তু এতে ল্যান্ডিংয়ের সময়ে সুরক্ষার বিষয়ে বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে৷ প্রপালশন মডিউল থেকে ৭৫৮ ওয়াট পাওয়ার জেনারেট হবে৷ ল্যান্ডার মডিউল থেকে ৭৩৮ ওয়াট, রোভারে হবে ৫০ ওয়াট৷
ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে শিভন জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩ -র কাজ হবে চাঁদের জিওলজি এবং পৃথিবীর উৎপত্তির বিষয়ে নানা বিষয়ে জানা৷ চন্দ্রযান-৩ যদি সফল হয়, তাহলে চাঁদের মাটি থেকে প্রথম সেলফি তোলা সম্ভব হবে৷ কিন্তু কী ভাবে?কারণ, ‘বিক্রম’ ল্যান্ডার এবং ‘প্রজ্ঞান’ রোভারের উপরে রয়েছে জাতীয় পতাকার ছাপ ( Indian robots Vikram and Pragyaan carry imprints of India’s tricolour) আর রয়েছে, ক্যামেরা৷ চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছেই যে ক্যামেরায় ‘বিক্রম’এবং ‘প্রজ্ঞান’ ছবি উঠবে৷