TRENDING:

Chandrayaan 2: ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চন্দ্রাভিযানের পিছনে ইসরোর উদ্দেশ্য জানলে গর্ব বোধ করবেন

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: নাসা চাঁদে বাড়ি বানানোর কথা ভাবছে। তবে ভারতের নজর অন্য দিকে। পৃথিবীর খনিজ ফুরিয়ে গেলে কী হবে তা নিয়েই ভাবনা ইসরোর। সেই দিশা দেখাতেই চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান টু।
advertisement

চন্দ্রযান-এক-এর সাফল্যের পর এবার গোটা দুনিয়া তাকিয়ে ভারতের দিকে। চাঁদের বুকে জলের হদিশ দিয়েছিল চন্দ্রযান-এক। এবার কোন নতুন খবর আনে চন্দ্রযান-দুই? উৎসাহী দুনিয়া। প্রজ্ঞান দেখার চেষ্টা করবে চাঁদের পিঠে কি ধরণের খনিজ পদার্থ আছে। ধুলিকণাগুলোকে বিশ্লেষণ করে, আর একটা প্রোব মাটির নীচে ঢুকিয়ে বোঝার চেষ্টা করবে উত্তাপ ৷

আরো অনেক কিছুর সন্ধান দেবে চন্দ্রযান দুই। কিন্তু তার আগে দেখেনি কে এই প্রজ্ঞান আর বিক্রম?

advertisement

প্রজ্ঞানঃ আসলে একটি রোভার। চাঁদের বুকে প্রায় আধ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে ঘুরে বেড়াবে এই স্বয়ংক্রিয় যান। ছয় চাকাওয়ালা এই যান স্বয়ংক্রিয় যান চাঁদের পৃষ্ঠদেশের মাটিতে মিশে থাকা খনিজ, উষ্ণতা, জমে থাকা জল বা জলীয় বাষ্পের সন্ধান করবে।

বিক্রমঃ একটি ল্যান্ডার। বা চন্দ্রযান-দুই থেকে চাঁদের বুকে নেমে আসা একটি যান। ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি। মহাকাশ বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই-এর নামে এই যানের নামকরণ করা হয়েছে। বিক্রম আদতে ক্ষুদে গবেষণাগার। যে ডাটা ট্রান্সমিট করতে পারে। সর্বক্ষণ যোগাযোগ রেখে চলবে, প্রজ্ঞান, চন্দ্রযান দুই আর পৃথিবীর সঙ্গে। প্রজ্ঞানের সংগৃহীত তথ্য চন্দ্রযান দুই আর পৃথিবীতে পাঠাবে।

advertisement

অনেকগুলো কারণেই প্রথমস্থানের দাবিদার হতে পারে চন্দ্রযান-দুই অভিযান।

১) প্রথম চন্দ্র অভিযান যাতে স্বয়ংক্রিয় যান চাঁদের দক্ষিণমেরুতে নামবে, যে অংশ অনেকটাই আমাদের দৃষ্টির বাইরে থাকে। এর আগে সব ল্যান্ডিংই চাঁদের বিষুবরেখা অঞ্চলে হয়েছিল।

২) প্রথম ভারতীয় চন্দ্র অভিযান, যার প্রধান চারটি অংশ উপগ্রহ, উৎক্ষেপণ যান, ল্যান্ডার আর রোভার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি।

advertisement

৩) প্রথম ভারতীয় অভিযান, কোন বৈদেশিক প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই, খতিয়ে দেখবে চাঁদের পৃষ্ঠদেশ, করবে জিও-ম্যাপিং। সংগ্রহ করবে মাটি ধুলো বাষ্প।

৪) ভারতই চতুর্থ দেশ হতে যাচ্ছে যাদের স্যাটেলাইট চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করবে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

প্রশ্ন হল এত বড় এক অভিযানে কি কি পেতে পারি আমরা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর দাবি, চন্দ্রযান-দুই অভিযান হলে মিলতে পারে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্বের হদিশ। জানা যাবে চাঁদের জন্মকথা। এবং সেই সময় কেমন ছিল মহাকাশের গঠন? আশা চন্দ্রযান-একের মত অনেক অজানা তথ্যের হদিশ দিতে যেমন পারবে, তেমনই খুলে দেবে ভবিষ্যৎ ভাবনার দরজা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Chandrayaan 2: ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চন্দ্রাভিযানের পিছনে ইসরোর উদ্দেশ্য জানলে গর্ব বোধ করবেন