নির্দেশিকাটিতে জাতীয় পতাকা সম্মান আইন এবং নিরোধ প্রতিরোধ আইন কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। অতীতে দেখা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠানে কাগজের পতাকার পরিবর্তে প্লাস্টিকের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে,"যেহেতু প্লাস্টিকের তৈরি পতাকা কাগজের পতাকার মত জৈব বিস্তৃত হয় না, তাই দীর্ঘ সময়ের জন্য পচে না। পরিবেশের পক্ষে যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। জাতীয় সম্মান দমন প্রতিরোধ আইন অনুসারে প্রকাশ্যে বা অন্য যেকোনও স্থানে মৌখিকভাবেই হোক বা শারীরিকভাবে, ভারতীয় জাতীয় পতাকা অবমাননার কাজ জরিমানা সাপেক্ষ এবং একই সঙ্গে তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ"।
advertisement
ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যাবে, ভারতে প্লাস্টিকের ব্যবহার জোরালোভাবে শুরু হয়েছিল ১৯৫৭-এর কাছাকাছি সময়। তবে ভারতের জীবনযাত্রার সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জুড়ে যেতে সময় লেগেছিল আরও ৩০ বছর।১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান পেট্রো-কেমিক্যালস-এর হাত ধরে 'প্লাস্টিকের বাজার' তৈরি হয়। আর ১৯৯৪ সালেই প্লাস্টিকের সফট্ ড্রিংকের বোতলগুলি পরিবেশে বিরক্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সময় বদলে গিয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবহার আমাদের ঠিকমতো না করার কারণে, এটি একটি গুরুতর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনুমান করা হয় যে, ব্যবহারের পরে অল্প সময়ের মধ্যেই প্লাস্টিক প্যাকেজিং প্রোডাক্টের ৭০ শতাংশই প্লাস্টিক বর্জ্যে পরিণত হয়। আমাদের দেশে প্রতি বছর ৯৪ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই পুনর্ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার প্লাস্টিকের ফলে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে অবগত। তাই সঠিক সময় সব রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে সাবধান করে দিয়েছে তাঁরা।