এবারই অবশ্য প্রথম নয়, গত অগস্ট মাসে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, সারা দেশে এনআরসি করার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন,নাগরিক আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী ২০২১ সালে জনসুমারির প্রথম ধাপের সঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী সংশোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে উদ্ধব, বুধে শরদের কাছে মমতা! মুম্বইয়ে চমক দিতে পারেন শাহরুখকে নিয়েও
advertisement
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, জাতীয়স্তরে এনআরসি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, সিএএ, এনপিআর ও এনসিআর বাতিলের দাবি প্রথম থেকেই করে আসছে বিরোধীরা। এনআরসি নিয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও এনপিআর হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তিনি সেই সময় আরও জানিয়েছিলেন, ''জনগণনার সময় জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি সংশোধন করা হবে। পরিমার্জিত হবে জনবিন্যাস ও পরিবার এবং ব্যক্তির অন্যান্য তথ্য থাকবে। তাতে থাকবে বায়োমেট্রিক তথ্যও। এজন্য অবশ্য কোনও নথি সংগ্রহ করা হবে না। কোভিড সংক্রমণের জেরে এনপিআর স্থগিত করা হয়েছিল।'
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপি-তে প্রশান্ত কিশোরের গোপন লোক! মারাত্মক অভিযোগ তথাগত রায়ের
প্রসঙ্গত, দেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত অসমে এনআরসি হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল সেই চূড়ান্ত তালিকা। ৩.৩ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার নাম বাদ পড়েছিল এনআরসি-তে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছিল তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। উল্লেখ্য, গোটা দেশে এনআরসি করা হবে বলে দাবি করে আসছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার ভোটেও বারবার ফিরে এসেছে সিএএ, এনআরসি বিতর্ক। পরে অবশ্য দিল্লির রামলীলা ময়দানে খোদ নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন,'এমন কোনও প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়নি।' এবার সংসদেও তা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।