আইপিসি, সিআরপিসি-র নতুন নাম কী?
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, ১৮৬০ সালের আইপিসি-র নতুন নাম হচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা সিআরপিসি-র নাম বদলে হচ্ছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা৷ ইন্ডিয়ান এভিেডন্স অ্যাক্টের নাম বদল করে হচ্ছে ভারতীয় সাক্ষ্য৷ সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে প্রস্তাবিত তিনটি আইনই রদবদল সহ পর্যালোচনার জন্য জমা দেওয়া হয়েছে৷
advertisement
দেশদ্রোহিতা আইন প্রত্যাহার
এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত দেশদ্রোহিতা আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে এমন কোনও অপরাধ, বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ, সশস্ত্র কোনও বিপ্লব বা বিক্ষোভ, বিভাজনের চেষ্টার মতো অপরাধের ক্ষেত্রে নতুন তিনটি আইনেই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, দেশদ্রোহিতা আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে৷ নতুন আইনে দেশদ্রোহিতা শব্দটিও রাখা হয়নি৷
অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, গণপিটুনির ঘটনাতেও নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ডকে শাস্তি হিসেবে রাখা হয়েছে নতুন আইনে৷ তাছাড়াও গণধর্ষণের ক্ষেত্রে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড, নাবালিকা ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে৷
শিশু, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমানোয় জোর
প্রস্তাবিত এই নতুন বিলে শিশু এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ. খুন এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আইনগুলির উপরেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে৷ আবার এই প্রথম বার ছোটখাটো অপরাধের ক্ষেত্রে সামাজিক সেবাকেও শাস্তি হিসেবে রাখা হয়েছে৷ এ ছাড়াও অপরাধের শাস্তির ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূুর করার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে নতুন এই বিলে৷ সংগঠিত অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঠেকাতেও নতুন আইনে আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ অমিত শাহ সংসদে দাবি করেছেন, ব্রিটিশ আমলের আইনগুলি সম্পূর্ণ রূপে বদলে ফেলাই ছিল মূল লক্ষ্য৷
অমিত শাহ বলেন, ‘যে আইনগুলি অবলুপ্ত করে দেওয়া হচ্ছে সেগুলির মূল উদ্দেশ্যই ছিল ব্রিটিশ প্রশাসনকে আরও মজবুত করা৷ ন্যায় বিচার দেওয়ার বদলে শাস্তি দেওয়াই ছিল আইনগুলির উদ্দেশ্য৷ নতুন আইন এনে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকারকে সুরক্ষিত করা হল৷ নতুন আইনগুলির লক্ষ্য হবে বিচার পাইয়ে দেওয়া, শাস্তি দেওয়া নয়৷ এমন ভাবে শাস্তি দেওয়া হবে যাতে অপরাধ বন্ধ হয়৷’ তবে নতুন আইনগুলিতেও আইপিসি, সিআরপিসি-র মতো মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকছেই৷