মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রের পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা তহসিল অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, ছিখারা গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রী স্থানীয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। ওই ছাত্রীর কথায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের জল খাওয়ার জন্য কুঁজো রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- করোনা সংক্রমণ আপডেট: একদিনে ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৩,৪৫১ জন! মৃত ৪০ জন
advertisement
শনিবার প্রচণ্ড জল তেষ্টা পাওয়ায় সে পড়ুয়াদের জন্য রাখা নির্দিষ্ট কুঁজো থেকেই জল খেতে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে জল শেষ হয়ে যাওয়াতে শিক্ষকদের জন্য রাখা কুঁজো থেকে জল খেয়ে নেয় ওই ছাত্রী। এই ঘটনাটি দেখতে পেয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক কল্যাণ সিং তাঁকে মারধর করেন।
বাড়িতে পৌঁছে এই ঘটনাটি নিজের বাবা-মাকে জানায় ওই ছাত্রী। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ওই ছাত্রীর বাবা রমেশ কুমার সহ বহু গ্রামবাসীই স্কুলে পৌঁছন। অভিযোগ, প্রতিবাদ জানাতে গেলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাঁদের সঙ্গে জাতপাত তুলে অপমানকর শব্দ ব্যবহার করে দুর্ব্যবহার করেন। এরপরই ছাত্রীর বাবা ও গ্রামবাসীরা দল বেঁধে তহসিলে পৌঁছন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুন- কোভিডে ভারতে মৃত কত? WHO-র সঙ্গে একমত নয় দেশ: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অতিরিক্ত বিএসএ গৌরব শুক্লা রবিবার জানান, স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে শিক্ষক কল্যাণ সিং জানান, কলসিতে হাত ঢুকিয়ে গ্লাস দিয়ে জল বের করছিল ওই ছাত্রী। “ওকে এর জন্যই বকাবকি করা হয়েছিল। আমি ছাত্রটিকে মারধর করিনি,” বলেন কল্যাণ সিং।