কমিটির রিপোর্টে দাবি, মহুয়া মৈত্র তাঁর ইউজার আইডি এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে অন্যকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন৷ ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকেও তিনি অনৈতিক উপায়ে নগদ টাকা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে৷ এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ এছাড়া, উশৃঙ্খল আচরণ এবং ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে লোকসভা এথিক্স কমিটির সদস্য দানিশ আলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির তরফে৷
advertisement
আরও পড়ুন: শাড়ি পরে দৌড়ে এসে সোজা ‘কিক’! এথিক্স কমিটির বৈঠকের আগে মহুয়া মৈত্রের ‘ভিডিও-বার্তা’
সূত্রের খবর, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার স্পিকারের কাছে রিপোর্টটি জমা দেওয়া হবে। তারপরে তা আলোচনার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আগামিকাল বিকেল ৪টে নাগাদ কমিটির সামনে উপস্থিত হওয়ার কথা মহুয়া মৈত্রের৷
গত ২ নভেম্বর ‘ব্যক্তিগত এবং অনৈতিক’ প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এথিক্স কমিটির বৈঠকে কমিটির চেয়ারপার্সন তথা বিজেপি নেতা বিনোদ কুমার সোঙ্কার মৌখিক ভাবে তাঁর ‘বস্ত্রহরণ’ করেছেন। লোকসভার স্পিকারের কাছে এক জন মহিলা সাংসদ হিসাবে ‘সুরক্ষা’ও চান তিনি। প্রসঙ্গত, ১৫ সদস্যের এথিক্স কমিটির অধিকাংশই বিজেপি৷
‘ঘুষের বিনিময়ে’ সংসদের অধিবেশনে আদানি গ্রুপ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র৷ সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওমপ্রকাশ বিড়লার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে৷ এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক৷ ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়েই সংসদে আদানি গ্রুপ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া৷ তার পরেই তাঁকে মহুয়া মৈত্রকে ডেকে পাঠায় সংসদীয় এথিক্স কমিটি৷
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতন থেকে বিদায় নিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, ‘আনন্দে’ মিষ্টিমুখ বিশ্বভারতীর সামনে
অন্যদিকে, বুধবার এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেন, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় লোকপাল। তাঁর সেই দাবি জানার পরে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া অবশ্য জানিয়েছেন, আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগই আগে তদন্ত করে দেখা উচিত সিবিআইয়ের। পরে যদি তাঁরা সাংসদের জুতোর সংখ্যা গুনতে চান, তাহলে তাঁদের স্বাগত জানাবেন মহুয়া৷