বাধআ কপির খাওয়ার কারণে কোনও মেয়ের মৃত্যু হবে, এমনটা কেউ ভাবেনি। কিন্তু রাজস্থানের গঙ্গানগরে এক ১৪ বছরের মেয়েটির মৃত্যু ঘটেছে বাধাকপি খাওয়ার কারণে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো এলাকা হতবাক হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে স্ত্রী, রাগে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিল স্বামী
১৪ বছর বয়সী স্নেহা গঙ্গানগরের সাধুবালি গ্রামের মহাত্মা গান্ধী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। ১৮ ডিসেম্বর, সে তার ক্ষেতের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিল এবং সেখানে কিছু বাধাকপির পাতা তুলে খেয়েছিল।
advertisement
সাধারণত বাধাকপি কোনও ক্ষতি করে না। বার্গারের মতো খাবারে বাধা কপি ব্যবহার করা হয় এবং লাখ লাখে মানুষ এটি খায়। হয়তো এই কারণেই মেয়েটি কিছু বাধাকপি খেয়েছিল। কিন্তু সে জানত না, এই খাবারই তার জীবন শেষ করে দেবে। মেয়েটি বাড়ি ফিরে এসে অজ্ঞান হতে শুরু করে। সে তার বাবা-মাকে বলেছিল যে, সে বাধাকপি খেয়েছে। তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু সাত দিনের লড়াইয়ের পর মেয়েটির মৃত্যু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অভিনেত্রীর গাড়িতে পিষে গেলেন কর্মরত শ্রমিক! ভয়াবহ দুর্ঘটনা মেট্রো রেল স্টেশনের কাছে
আসলে, এই বাধা কপি মেয়েটির জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কারণ যেই বাধাকপি সে খেয়েছিল, সেই ক্ষেতের মধ্যে তার চাচা একই দিন কীটনাশক দিয়েছিলেন। প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে কারণ একই দিনে কীটনাশক ছিটানো হয়েছিল, ফলে বাধাকপি অত্যন্ত বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল এবং এতে শরীরে বিষ তৈরি হয়েছিল।
আমাদের দেশে সাধারণত সব ধরনের সবজিতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। তাই সেগুলি ভালোভাবে ধুয়ে না খেলে, তা প্রাণঘাতী হতে পারে। কৃষকরা কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাধা কপির চাষে সবচেয়ে সাধারণ কীটনাশকগুলির মধ্যে রয়েছে ফেথোএট, প্রোফেনোফোস, ক্লোরপাইরিফোস, এসিফেট, মনোক্রোটোফোস, ডাইক্লোরোভোস এবং কুইনালফোস। এই সব কেমিক্যাল অত্যন্ত বিষাক্ত।