ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, গঙ্গাবতী ডিপোর একটি বাস আদোনি থেকে রায়চুর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
advertisement
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কর্ণাটক আরটিসি বাসটি আদোনি থেকে মন্ত্রালয়ের দিকে যাচ্ছিল। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দুটি বাইকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে বাইকে থাকা পাঁচজনের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হোমগার্ড হেমাদ্রিকে দ্রুত আদোনি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
মৃতদের পরিচয় জানা গিয়েছে। ভীরান্না ও আদিলক্ষ্মী দম্পতি (আদোনি মন্ডলের কুপ্পাগল্লু গ্রামের বাসিন্দা) হোমগার্ড হেমাদ্রি, তার স্ত্রী নাগরত্ন ও ছেলে দেবরাজ (কর্ণাটকের রায়চুর জেলার বাসিন্দা)।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাসচালক ওভারস্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিল এবং সামনে থাকা বাইকগুলোকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি বাইক দুটির উপর উঠে গেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই আরটিসি বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ তার সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বাস ও ট্রাক্টরের ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ কেড়ে নিল ৪টি তরতাজা প্রাণ, গুরুতর আহত অন্তত ১১
ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রী টিজি ভারত আহতদের ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তবে, চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং গুরুতর আহত হোমগার্ড হেমাদ্রি মারা যান।
এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। পুলিশ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং পলাতক বাসচালককে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।