প্রিয়া সিং নামে ওই তরুণীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকেই এই খবর সামনে এসেছে৷ আক্রান্ত ওই তরুণীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রেমিকের বাবা অনিল গায়কোয়াড় মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের এমডি৷ ওই তরুণীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রেমিকের দুই ,বন্ধুও এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল৷
গত ১১ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ৷ গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ওই তরুণীর ডান পা ভেঙে গিয়েছে৷ তাঁর পেট, পিঠ এবং হাতেও আঘাত লাগে বলে অভিযোগ৷ বর্তমানে ওই তরুণী একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
advertisement
পেশায় মডেল ওই তরুণীর অভিযোগ, অশ্বজিৎ গায়কোয়াড় নামে তাঁর প্রেমিক গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাব খাটাচ্ছে৷ সেই কারণেই সামাজিক মাধ্যমে গোটা ঘটনা জানাতে তিনি বাধ্য হলেন বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আঘাতের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি৷
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখেননি দলেরই নেতা, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন হাওড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা
ওই তরুণীর আরও অভিযোগ, কাসরভাদাভালি থানার পুলিশও চাপে পড়ে সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না৷ এমন কি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা মতো গুরুতর ধারায় মামলাও করা হয়নি বলে অভিযোগ ওই তরুণীর৷ পুলিশ অবশ্য তরুণীর দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে৷ অভিযুক্ত এবং তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করা), ২৭৯ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো)-র মতো ধারায় মামলা করা হয়েছে৷
ওই তরুণীর দাবি অনুযায়ী, ঘটনার দিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ একটি হোটেলে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি৷ কিন্তু সেই সময় ওই যুবক তাঁকে উপেক্ষা করতে শুরু করে৷ এই নিয়ে হোটেলের বাইরে রাস্তার উপরে দু জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়৷ তখনই অভিযুক্ত ওই তরুণীকে মারধর করে৷ এর পর ওই তরুণী যখন তাঁর প্রেমিকের গাড়ি থেকে ব্যাগ এবং মোবাইল নিতে যান, তখনই অভিযুক্তের এক বন্ধু গাড়ির ইঞ্জিন চালু করে দেয়৷ যার ফলে ওই তরুণী পড়ে যান৷ এর পরেই তাঁর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়৷
যদিও তরুণীর দাবি উড়িয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক৷ তার পাল্টা দাবি, ওই তরুণী তার বান্ধবী নন এবং ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন৷ অশ্বজিতের দাবি, ‘ওই হোটেলে আমাদের একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান চলছিল৷ সেখানে মদ্যপ অবস্থায় এসে ও আমাকে বাইরে হাঁটতে যেতে বাধ্য করে৷ আমি আপত্তি করলে ও আমাকে গালিগালাজ করতে শুরু করে৷ আমার বন্ধুরা প্রতিবাদ করতে গেলে ও তাঁদেরও হেনস্থা করে৷ আমার এক বন্ধু গাড়িটি চালু করে যাতে ও পিছিয়ে যায়৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ও রাস্তায় পড়ে যায়৷ তখনই দুর্ঘটনা ঘটে, তবে তা একেবারেই ইচ্ছাকৃত ছিল না৷’