বুলডোজারকে একটি রাষ্ট্র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে আদালতে সওয়াল করেন তিনি। দুষ্মন্ত দাভে আরও বলেন, শুধুমাত্র জাহাঙ্গিরপুরীই নয়, দেশের যে কোনও জায়গাতেই কোনওরকম হিংসাত্মক ঘটনার পর বুলডোজার ব্যবহার করে সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীকে টার্গেট করা হচ্ছে। রাষ্ট্র এভাবে কাজ করতে পারে না বলে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তারকেশ্বরের হোটেলে হাড়হিম ঘটনা, হোটেলের সিলিং থেকে ঝুলছে যুগলের দেহ! কী ঘটল?
advertisement
বিচারপতিদের বেঞ্চে জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দের মামলার শুনানিতে দুষ্মন্ত দাভে প্রশ্ন তোলেন, পুর আইন মেনে কেন বাড়ি, দোকান ভাঙার আগে নোটিশ পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে গরীব মানুষের বাস বলেই সেগুলিকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে বুলডোজার অভিযান চালানো হয়েছে। অথচ কেন সৈনিক ফার্ম বা গল্ফ কলোনিতে এই অভিযান করা হয়নি, সে প্রশ্ন তোলেন দুষ্মন্ত দাভে। এই জায়গাগুলিতে প্রতি দুটি বাড়ির একটি করে অবৈধ নির্মাণ বলে আদালতে সওয়াল করেন দুষ্মন্ত দাভে।
আরও পড়ুন: একটি মাথা, আটটি পা, দুটি ধর - বিরলদর্শন শাবককে ঘিরে তোলপাড় দেগঙ্গা!
জমিয়তের পাশাপাশি এদিন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতেরও মামলার আবেদনের শুনানি হয়। সেখানে আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল বলেন, শোভাযাত্রা চলাকালীন হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে এবং তারপর সমাজের একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বাড়ি, দোকান ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ঠিক কখন পুর প্রশাসনকে আদালতের রায়ের কপি পৌঁছানো হয়েছিল তা জানতে চান বিচারপতিরা। আইনজীবীরা জানান, সকাল ১১টায় তা জানানো হয়। এদিকে, গতকাল বৃন্দা কারাতের পর আজ জাহাঙ্গিরপুরীতে যায় অজয় মাকেন, শক্তিসিং গোহিলের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। যদিও তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। অজয় মাকেন বলেন, এবাবে বুলডোজার অভিযান চালানোর কোনও অধিকার নেই পুরনিগমের। মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘোরাতেই এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।