জনতার প্রত্যাশা ছিল, করছাড়ের ব্যবস্থা করে মধ্যবিত্তের খানিক সুরাহা করবেন অরুণ জেটলি। আম আদমির হাতে বাড়তি টাকার যোগান দিয়ে, ভোগব্যয় বাড়াবেন। যা আদতে অর্থনীতির পালেই হাওয়া দেবে। কিন্তু সেই পথে হাঁটলেনই না অর্থমন্ত্রী। সাধারণ বাজেটে অপরিবর্তিত রাখলেন আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। ফলে একনজরে দেখে নেওয়া যাক কত টাকা আয় করলে কত টাকা ট্যাক্স হিসেবে যাচ্ছে সরকারের পকেটে-
advertisement
আয়-কর
- আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হচ্ছে - শূন্য
- আড়াই লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হচ্ছে -- ২৫ হাজার টাকা
- পাঁচ লাখ টাকা থেকে দশ লাখ টাকা আয়ে কর দিতে হচ্ছে -- ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা
- দশ লাখ থেকে পনেরো লাখ টাকা আয়ে কর দিতে হচ্ছে -- ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা
তবে ছোট ঋণদাতাদের জন্য বাজেটে সামান্য সুবিধা করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে, অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা কর ছাড়ের বন্দোবস্ত করেছেন জেটলি। এছাড়া পেনভোগীদের জন্য ৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে সরকার ৷ ৬০ বর্গ মিটার পর্যন্ত বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা করেছেন পরিষেবা কর ছাড়ের। বাড়িভাড়ার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সীমা ২৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে কতজন এই সুবিধার আওতায় আসবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অপরিবর্তিত আয়কর কাঠামোর পাশাপাশি পরিষেবা করের বাড়তি বোঝাও হতাশ করেছে মধ্যবিত্তকে। এদিন বাজেটে পরিষেবা কর সাড়ে চোদ্দ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছেন জেটলি। ফলে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়তে বাধ্য। রাজকোষ ঘাটতি মোকাবিলা, পরিকাঠামো উন্নয়ন বা ভর্তুকিতে চালানো সামাজিক প্রকল্প- সব ক্ষেত্রেই টাকা জোগাড়ে মোদি সরকারের ভরসা যে আম আদমিই, এদিনের বাজেটে তা স্পষ্ট।