কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদেকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা দু’জনই আগরতলায় পৌঁছেছেন। বিজেপি আজই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভূপেন্দ্র এবং বিনোদ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্য বিজেপির ইনচার্জ বিনোদ সোনকর। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব ভার্মা এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডঃ মানিক সাহা৷
advertisement
আরও পড়ুন- প্রবেশ ও প্রস্থানের একটিই সরু সিঁড়ি বাড়িয়েছে আতঙ্ক! মুন্দকা অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২৭!
বিপ্লব দেবের পদত্যাগপত্র-
এমন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণায় বিরোধী বিজেপিকে কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল একটি ট্যুইট করে জানিয়েছে, ত্রিপুরায় পরিবর্তন অনিবার্য!
“ত্রিপুরায় হাজার হাজার মানুষকে ব্যর্থ করা মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায়! যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এতটাই বেশি ক্ষতি যে বিজেপির শীর্ষ কর্তারাও মুখ্যমন্ত্রীর অক্ষমতায় বিরক্ত। বিজেপি খুবই বিচলিত বলে মনে হচ্ছে! পরিবর্তন অনিবার্য,” ট্যুইটে লিখেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- "ঘরে গোমূত্র ছিটিয়ে দিলেই কাটবে বাস্তু দোষ", দাবি উত্তরপ্রদেশের পশুপালন মন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই সাংবাদিকদের কাছে জানানো প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিপ্লব দেব বলেন, “আমি ত্রিপুরার জন্য কাজ করেছি এবং দলের কাছে কৃতজ্ঞ।” তিনি বলেন, “লম্বা সময় সরকার রাখার জন্য আমার মতো কার্যকর্তার সংগঠনের কাজ করলে নিশ্চয়ই সংগঠন লাভান্বিত হবে।” মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে কি কোনও কষ্ট বা অভিমান তাড়া করছে তাঁকে? উত্তরে বিপ্লব বলেন, “প্রত্যেক কাজের সময়সীমা থাকে, আমাকে যে ভূমিকাতেই দেওয়া হোক বিপ্লব দেব সব জায়গায় কাজ করবে।”
দীর্ঘদিন ধরেই আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিপ্লব দেব। ত্রিপুরার গোমতি জেলার উদয়পুরের আকরাবনে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লব। প্রায় ১৫ বছর কাটিয়েছেন দিল্লিতে। ২০১৬ সালে দলের রাজ্য শাখার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দিল্লিতে জিম প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন বিপ্লব দেব। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৮ সালে ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব দেব।