শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রসঙ্গত, এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার আরও এক তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন- উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি
হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি। গত ২০ জানুয়ারিই এই তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই সময় তাঁর বাড়ি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র পাওয়া গিয়েছিল।
advertisement
তাঁর বাড়িতে কীভাবে এসেছিল ওই সব নথি? নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গেই বা তাঁর কী সম্পর্ক? সে সবই তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা। কিন্তু, সেই সমস্ত প্রশ্নের সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি ওই তৃণমূল নেতা।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও ৭ বার তলব করা হয়েছিল কুন্তল ঘনিষ্ঠ তথা হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, এই শান্তনুর সঙ্গে কুন্তলের একাধিক আর্থিক লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের সঙ্গে নাকি কুন্তলের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই শান্তনুই। ইডি-র দাবি, এই শান্তনুই নাকি ঠিক করতেন, কত টাকায় স্কুলের চাকরি বিক্রি করা হবে।
এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি পত্র নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র সদর দফতরে শান্তনুকে তলব করেছিল ইডি। সেই মতো তিনি হাজিরাও দেন। তার পরে টানা ৭ ঘণ্টা চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
আরও পড়ুন- বাইক দাঁড় করিয়ে রেখে ঝাঁপ, শনিবার হঠাৎ লঙ্কাকাণ্ড দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে
সূত্রের খবর, ইডি-র আধিকারিকরা তাঁকে তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে হওয়া একাধিক মোটা টাকার লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু, তার কোনওটারই সদুত্তর দিতে পারেননি এই তৃণমূল নেতা। এছাড়া, টলিউডের এক অভিনেত্রীর সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইডি। তা নিয়েও চুপ থেকেছেন শান্তনু।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী