এতদিন বিজেপি নেতারা দাবি করে আসছিলেন, শিবসেনার ভিতরের বিদ্রোহে তাদের কোনও ভূমিকাই নেই৷ কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে একনাথ শিন্ডেদের বিদ্রোহের নেপথ্যে আসলে রয়েছে বিজেপি-র চক্রান্ত৷
আরও পড়ুন: মুম্বাইয়ে আসছি, ঘুঁটি সাজিয়ে গুয়াহাটি থেকে হুঙ্কার শিন্ডের
রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর একনাথ শিন্ডে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, 'শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক ক্রমাগত দাবি করছেন, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে জোটে তাঁরা থাকতে চান না৷ তাঁর মানে তাঁরা সরকারের সঙ্গে নেই৷ আমরা রাজ্যপালকে লিখিত ভাবে সেটাই জানিয়েছি৷ তাই আমরা রাজ্যপালকে আর্জি জানিয়ে বলেছি, যাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আস্থা ভোট ডেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলেন৷' ফড়নবীশের সঙ্গেই রাজ্যপালের কাছে যান বিজেপি নেতা গিিরশ মহাজন এবং বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল৷
advertisement
আরও পড়ুন: হোটেল তো নয়, যেন দুর্ভেদ্য দূর্গ, বুকিং পাচ্ছে না কেউই, নজর কাড়ছে র্যাডিসন ব্লু
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার আগেই দিল্লিতে গিয়ে তিরিশ মিনিট ধরে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন ফড়নবীশ৷ মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি জানানোর জন্য দলের রণকৌশল কী হবে, এই বৈঠকে তা নিয়েই আলোচনা হয় বলে খবর৷
মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন৷ শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সম্মিলিত বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১৫২৷ বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে প্রায় ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে চল্লিশ জনই শিবসেনার৷ ফলে শেষ পর্যন্ত এই বিধায়কদের সমর্থন না পেলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে উদ্ধব সরকার৷
এই পরিস্থিতিতে আজই ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন উদ্ধব৷ সূত্রের খবরই, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়করা আজই বিকেলে মুম্বাইতে ফিরতে পারেন৷ শেষ পর্যন্ত আস্থা ভোট আটকাতে শিবসেনা শীর্ষ নেতৃত্বও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷