উল্লেখ্য, বাংলায় এই মূহুর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছে জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আগে থাকলেও এখন আর নেই। কারণ, বর্তমানে তিনি খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। সাধারণভাবে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানদের মন্ত্রী করা হয় না। লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র ১৫ মাস বাকি। তার আগে কর্নাটক, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই কারণে সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে রাজনৈতিক সূত্রের দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন: সেলিমকে চিঠি অধীরের, বাংলায় ফের জোট-জল্পনা! মুখ খুললেন শুভেন্দুও
সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে বেশ কয়েকটি হিসেব মাথায় রাখা হচ্ছে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয়, হিমাচলে পরাজয় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাকে কাজে লাগানো হচ্ছে মন্ত্রিসভার রদবদলের ক্ষেত্রে। সূত্রের খবর, সেই হিসেবে গুজরাট বিজেপির সভাপতি সিআর পাতিলকে মন্ত্রিসভায় আনার সম্ভাবনা প্রবল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের নবসারি থেকে জয়লাভ করেন তিনি। হিমাচলে দলের ব্যর্থতায় দায় চাপিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় দেওয়া হতে পারে অনুরাগ ঠাকুরকে। তাঁর ওপর বিজেপি নেতৃত্ব চরম ক্ষুব্ধ বলে গেরুয়া সূত্রের দাবি।
আরও পড়ুন: বন্দে ভারত ট্রেন নিয়ে বড় ঘোষণা, বাজেটে থাকতে পারে বিরাট চমক
গতবার মন্ত্রিসভার রদবদলে বিদায় দেওয়া হয়েছিল প্রকাশ জাভরেকড়, রবিশঙ্কর প্রসাদকে। প্রকাশ জাভরেকরের জায়গায় আনা হয় অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। এছাড়াও মুক্তার আব্বাস নাকভিকেও সরানো হয়। শিবসেনা, জেডিইউয়ের আপাতত কোনও মন্ত্রী নেই। শিবসেনা থেকে শিণ্ডে শিবিরের কাউকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। রাম বিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ানেরও মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও নামানো হতে পারে সংগঠনের কাজে। তিনি অমিত শাহের খুবই ঘনিষ্ঠ। ফলে অমিত শাহের নির্দেশে তাঁকে দলের নানান দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।