এদিন রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ওই ১১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার অধিকার গুজরাত সরকারের নেই৷ কারণ, যে রাজ্যের আদালতে দোষীদের শুনানি ও শাস্তি ঘোষণা হয়, একমাত্র সেই রাজ্যেই দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷ এক্ষেত্রে, এই ক্ষমতা রয়েছে মহারাষ্ট্রের উপরে৷
advertisement
আরও পড়ুন: সাদামাঠা পোশাক, বাইকে চড়েই ব্রিগেডে! মমতার ছবির সঙ্গে মীনাক্ষীর মিলের খোঁজ অনেকের
সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ‘ভাল’ ভাবমূর্তি ও ব্যবহারের উদাহরণ সামনে রেখে মুক্তির প্রার্থনা করেছিল এই ১১ সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী৷ সেই সময় ২০২২ সালের মে মাসে দোষীদের এ বিষয়ে গুজরাত সরকারের কাছে আবেদন জানানোর পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) অজয় রাস্তোগী৷
তার পরেই ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট ওই ১১ জনকে জেল থেকে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার৷ যুক্তি ছিল, তারা ইতিমধ্যেই ১৪ বছর সাজা খেটেছে৷ দোষীদের বর্তমানে ‘ভদ্র’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল৷ জেলের বাইরে বেরিয়ে আসার পরে তাদের মালা পরানো হয়৷ বিতরণ করা হয় লাড্ডুও৷ এমনকি, গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক-সাংসদদের পাশে একই মঞ্চে ‘হিরো’র সম্মান জানানো হয় তাদের৷ যা নিয়ে নিন্দায় সরব হয় গোটা দেশ৷
তারপরেই দোষীদের মুক্তি রদের আবেদন জানিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন বিলকিস বানো৷ দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সুভাষিনী আলি, স্বাধীন সাংবাদিক রেবতী লাউল এবং লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপ রেখা ভার্মা।
আরও পড়ুন: ‘গোটা মাঠের দখল নেবে…’ ব্রিগেডে হুঙ্কার মীনাক্ষীর, তবে এল না স্পষ্ট কোনও বার্তা
গত অক্টোবরে ১১দিনের শুনানির পরে রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারথনা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ৷ সেই রায় ঘোষণা হল আজ৷
গুজরাত হিংসার সময়ে ২১ বছর বয়সি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করেছিল অভিযুক্তেরা৷ তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যকে খুন করা হয়েছিল৷ তার মধ্যে তার ৩ বছরের মেয়েও ছিল৷