বিহারে ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রশান্ত। সেবার জনতা দল (ইউনাইটেড)-আরজেডি জোট ক্ষমতায় এসেছিল। পিকে জানিয়েছেন, বিহারের রাজনৈতিক উন্নয়নের প্রভাব বর্তমানে রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় স্তরে এর প্রভাব পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। “২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তিনি বিজেপির সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে আমার তাঁকে কখনই স্বচ্ছন্দ্য মনে হয়নি। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন যে মহাগঠবন্ধন নিয়ে পরীক্ষা করা যাক,” বলেন প্রশান্ত কিশোর।
advertisement
আরও পড়ুন- নীতীশ কুমারকে উপমুখ্যমন্ত্রী করাতে চেয়েছিল জেডিইউ! বিস্ফোরক দাবি বিজেপির
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাতেই কি নীতীশের এমন পদক্ষেপ? প্রশান্ত কিশোর এবিষয়ে জোর দিয়েই জানিয়েছেন যে রাজনৈতিক এই বাঁকবদল একেবারেই বিহার কেন্দ্রিক। নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরকে একসময় নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন হিসাবেই মনে করা হত। পিকে জানান ২০১২-১৩ সাল থেকে সরকার গঠনে ছয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাক্ষী হয়েছে বিহার এবং নীতীশ কুমার সবসময়ই তাতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থেকে গিয়েছেন। “২০১২-১৩ সাল থেকে এই নিয়ে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এটি ষষ্ঠ পরীক্ষা। এই ছয়টি পরীক্ষাতেই নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী থেকে গেছেন। আর বিহারে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমি আশা করি নতুন সরকার ভালো কিছু করবে,” বলেন পিকে।
নীতীশ কুমারের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব সফলভাবে সম্পাদন করার পরে প্রশান্ত কিশোর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জেডি(ইউ)-তে যোগ দেন এবং দলের জাতীয় সহসভাপতি হন। যদিও, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে, দলীয় ‘লাইন’ অতিক্রম করা এবং বাইরে মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করা হয় পিকে’কে।
আরও পড়ুন- "২০১৪ তে জিতলে কি ২০২৪ এও জিতবেন?" শপথ নিয়েই নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ নীতীশের!
২০২২ সালের এপ্রিলে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরে প্রশান্ত কিশোর রাজনৈতিক প্রাঙ্গণ থেকে সরে ছিলেন। তবে মে মাসে, তিনি ৩০০০ কিলোমিটারের ‘পদযাত্রা’ শুরুর ঘোষণা করেন যা ২ অক্টোবর বিহারের চম্পারণে মহাত্মা গান্ধির আশ্রম থেকে শুরু হবে।