মোদি বলেন, ‘‘আপনারাই বলুন, শুধুমাত্র ভোটের জন্য কি ছট মাকে অপমান করা যায়? বিহার কি এই অপমান সহ্য করবে? আমাদের মায়েরা যাঁরা নির্জলা উপবাস রেখেছেন, তাঁরা কি সহ্য করবেন? আপনারা তাঁদের শাস্তি দেবেন কি না?’’ ছট পুজো ও নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ টেনে সম্প্রতি করা রাহুল গান্ধির মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভোটমুখী বিহারে৷
advertisement
এখানেই শেষ নয়, লালু-রাবড়ির শাসনকালকে ‘জঙ্গলরাজ’ বলে দেগেছেন মোদি৷ ‘ক’ দিয়ে শুরু ৫টি শব্দের মাধ্যমে আরজেডির শাসনকালের বর্ণনা করলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বুধবার বিহারের মুজফফপুরে সভা করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি৷ বৃহস্পতিবার সেখানেই সভা করেছিলেন মোদি৷ এদিন রাহুলের ‘ছট’ সংক্রান্ত মন্তব্যের নিরিখে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি লালু-রাবড়ি-তেজস্বীর আরজেডি-কেও নিশানা রেন প্রধানমন্ত্রী৷ মোদি বলেন, ‘‘আরজেডি, কংগ্রেস এবং জঙ্গলরাজ কী করেছে? আমি পাঁচটি শব্দে ওদের কীর্তি সংক্ষেপে বলতে চাই। কট্টা, ক্রুড়তা, কটুতা, কুশাসন এবং কোরাপশন হল জঙ্গলরাজের বৈশিষ্ট্য। এটাই আরজেডির বৈশিষ্ট্য। এটাই তাদের বন্ধুদের বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।’’
এই নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধি এবং তেজস্বী যাদব তাঁকে যারপরনাই অপমান করেন বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তবে তাঁর কটাক্ষ ২০২৫-এর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে কুকথা বলা মূল খবর নয়৷ আসল খবর হল বিরোধী ‘মহাগঠবন্ধন জোটে’র অন্তর্বর্তী সমস্যা৷
‘তেল এবং জলে’ যে মিশ খায় না, সে উদাহরণ টেনে মোদি বলেন, ‘‘এই নির্বাচনে আসল খর আবার বিরুদ্ধে বলা কুকথা নয়৷ বরং আরজেডি এবং কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব৷ গতকাল, দুই ‘যুবরাজ’ই চেষ্টা করেছে, ওদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই৷ আসলে ক্ষমতার লোভই ওদের কাছাকাছি এনেছে৷ আরজেডি আর কংগ্রেস হচ্ছে তেল আর জল৷ এক গ্লাসে দু’জন থআকতে পারে না৷’’
