এক লাখ টাকার রেজিষ্ট্রেশন ফি, ট্রেন পিছু ১ কোটি টাকার সিকিয়োরিটি ডিপোজিট। এছাড়া হলেজ চার্জ ও স্টেবলিং চার্জ। তাই ভাড়া স্থির করার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার। যদিও ভারত গৌরবে আগ্রহ নেই পূর্বাঞ্চলের মতো সার্কিটে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী অবশ্য জানিয়েছেন, "আমরা এখনও কথা চালিয়ে যাচ্ছি বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের সাথে। বিভিন্ন বিগ হাউজের সাথেও আমাদের আলোচনা চলছে। আশা করছি এখান থেকেও এই ট্রেন চলাচল শুরু করে দেওয়া যাবে।" ব্যবসায়িক স্বার্থে পেশাদার ট্যুর অপারেটরদের ট্রেন ভাড়া দেবে রেল।
advertisement
আরও পড়ুন: এটিএমে ভয়াবহ জালিয়াতির শিকার, ৬৮ হাজার খোয়ালেন প্রৌঢ়!
এই প্রকল্পের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত গৌরব'। ২০১৭ সাল থেকে ‘আইসিএফ’ গোত্রের কামরার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে রেল। ধাপে-ধাপে ‘এলএইচবি’ গোত্রের কামরা লাগিয়েছে। কিন্তু পুরনো আইসিএফ কামরার মেয়াদ ফুরোয়নি। সেগুলি ব্যবহার না-করা হলেও কেটে বা ভেঙে ফেলার মতো পরিস্থিতি নেই। রেল সূত্রের খবর, সেই উদ্বৃত্ত কামরাগুলিকেই ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়িক কাজে লাগাতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ।নির্দিষ্ট পর্যটন সার্কিটে ট্রেন ভাড়া নিয়ে চালানোর ক্ষেত্রে এত দিন সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। বিগত কয়েক বছরে তেজস, রামায়ণ এক্সপ্রেস তারই উদাহরণ। অতীতে বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলিকে যুক্ত করে বুদ্ধিস্ট সার্কিট, সুফি তীর্থকেন্দ্রকে যুক্ত করে সুফি সার্কিটেও ট্রেন চালিয়েছে আইআরসিটিসি। কিন্তু রেল মন্ত্রক মনে করছে, একা আইআরসিটিসি পর্যটন ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পুরো সদ্ব্যবহার করতে পারছে না। তাই বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের হাতে ট্রেন তুলে দিয়ে তাই নতুন আয়ের দরজা খুলতে চায় রেল।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! এনটিপিসিতে কর্মরত জওয়ান সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মঘাতী
এ জন্য পর্যটন সংস্থাকে রুট বাছাই, এসি, নন-এসি, স্লিপারের মতো কোচ পছন্দসই সংখ্যায় বাছাই করার সুযোগ ছাড়াও ট্রেনের অন্দর ও বাইরের সজ্জা নির্বাচনের অধিকারও দেওয়া হচ্ছে।ভ্রমণসূচি নির্ধারণের অধিকার এবং ট্রেন ভাড়া নেওয়া পর্যটন সংস্থার হাতে থাকবে। এক লক্ষ টাকার রেজিস্ট্রেশন ফি এবং ট্রেন পিছু ১ কোটি টাকা সিকিয়োরিটি ডিপোজিট রেখে ট্রেন মিলবে। এ ছাড়া, ট্রেন না চললে তার জন্য স্টেবলিং চার্জ এবং ট্রেন চলার সময় হলেজ চার্জ গুনতে হবে বেসরকারি সংস্থাকে। সফরসূচি চূড়ান্ত হওয়ার অন্তত এক মাস আগে রেলকে জানাতে হবে।
