সম্প্রতি ভাগলপুরে যা ঘটল, তা দেখে সকলেরই এই পুরনো ছবির এই দৃশ্য মনে পড়ে যাবে। যখন প্রেমিক হঠাৎ স্টেশনে পৌঁছে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে। তবে, ভাগলপুর রেল স্টেশনে যা ঘটল, তা ছায়াছবির চিত্রনাট্যকেও হার মানিয়ে দিয়েছে। এখানে প্রেমিক তাঁর প্রেমিকার পিছু নিয়ে শুধু স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছেই যাননি, ট্রেন থেকে নামিয়ে সিঁথিতে সিঁদুরও দিয়ে দিয়েছেন, কাণ্ড দেখে মেয়েটির মা এবং খুড়তুতো ভাই হতবাক। সঙ্গত কারণেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্টেশনে ভিড় জমে যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রকেট গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! সহজলভ্য এই ৫ ফল-মাছ ঠেকায় ক্যানসার, রোজ ডায়েটে রাখুন
ভাগলপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই ঘটনার জের চলতে থাকে। জানা গিয়েছে, স্বাতী যাদব এবং বারিয়ারপুরের বাসিন্দা সুরজের মধ্যে বিগত ৬ বছর ধরে প্রেম ছিল। এই সময়ের মধ্যে, তাঁরা দুজনেই বেশ কয়েকবার একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় কোচিংয়ে সুরজের সঙ্গে স্বাতীর দেখা হয় এবং তাঁরা দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। রবিবার, স্বাতী তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাহেবগঞ্জে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। সুরজও তাঁর পিছু পিছু ট্রেনে করে ভাগলপুর পৌঁছন।
ট্রেন থামার সঙ্গে সঙ্গেই সুরজ ট্রেনে উঠে স্বাতীকে জোর করে তুলে স্টেশনের বাইরে নিয়ে যান এবং স্টেশন চত্বরের কাছে তাঁর সিঁথিতে সিঁদুরও দিয়ে দেন। বাড়ির লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই যা ঘটার ঘটে যায়। এর পর পরিবারের সদস্যরা বিরোধিতা শুরু করেন। স্বাতী জানান, হয় তাঁরা সপরিবারে আত্মহত্যা করবেন, নয়তো সুরজ তাঁকে নিজের বাড়ি নিয়ে যাবেন।
পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে হাতের বাইরে চলে গেলে, ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব নেয়। পুলিশ নিরাপদে তাঁদের ক্যাম্প অফিসে, লোকজনের ভিড় থেকে দূরে নিয়ে চলে যায়। এরপর, প্রত্যক্ষদর্শী ১১২ জনের একটি দলকে ডাকা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। স্বাতী এবং সুরজকেও থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। এই পুরো ঘটনার পর স্বাতীর মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে।