Cancer: রকেট গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! সহজলভ্য এই ৫ ফল-মাছ ঠেকায় ক্যানসার, রোজ ডায়েটে রাখুন

*আমাদের দেশে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেড়েছে। ক্যানসার শরীরের যে কোনও অঙ্গকে সংক্রামিত করতে পারে। যদি এটি সঠিক সময়ে শনাক্ত এবং চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এমনটাই জানিয়েছে।

*প্রতি পাঁচজন ক্যানসার রোগীর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয় বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, সাবধানতা অবলম্বন করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বাজারে যেসব খাবার পাওয়া যায় সেগুলোর কিছু যদি আমরা প্রতিদিন খেয়ে থাকি। চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি প্রায় শ্লথ হয়ে যায়।

*আঙুরঃ আঙুর রেসভেরাট্রোল নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। আঙুরে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফেনলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো উপাদান রয়েছে। এগুলো শরীরে প্রদাহ কমায়।

*গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন এক কাপ আঙুর খেলে ফুসফুস ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়। আঙ্গুরের বীজে থাকা প্রানথোসায়ানিডিনগুলিতেও ক্যানসার বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডায়েটে এই ফলগুলি যুক্ত করা হার্টের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করতে পারে। লাল এবং সবুজ উভয় ক্যানসার এই সুবিধা দেয়।

*গাজরঃ গাজর বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। এটি শরীরে ভিটামিন-এ-তে রূপান্তরিত হয় এবং ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি পাকস্থলী, ফুসফুস ও প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

*যারা ধূমপান করেন এবং গাজর খাওয়ার অভ্যাস নেই তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসার তিনগুণ বেশি দেখা যায়। প্রতিদিন স্যালাড বা ভাপা আকারে গাজর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। এছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবার ও ভিটামিন-সি, যা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।

*ব্রকলিঃ ব্রকলিতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ রয়েছে। এটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এটি স্তন, প্রস্টেট এবং কোলন ক্যানসারের জন্যও পরীক্ষা করে। পাশাপাশি, বাঁধাকপির মতো ক্রুসিফেরাস শাকসবজিও একই রকম সুবিধা দেয়।

*প্রতিদিন স্যালাড বা তরকারিতে স্টিমযুক্ত ব্রকলি যুক্ত করা শরীরে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াটি উন্নত করতে পারে। ব্রকলিতে উপস্থিত ভিটামিন-সি, ফাইবার এবং ফোলেট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবারটি সহজে রান্না করে খাওয়া গেলে এর পুষ্টিগুণ শরীরে বেশি পাওয়া যায়।

*চর্বিযুক্ত মাছঃ সালমন, ম্যাকেরেল এবং অ্যাঙ্কোভির মতো ফ্যাটযুক্ত মাছগুলি ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। 2022 মেটা-বিশ্লেষণ অনুসারে এই পুষ্টিগুলি স্তন এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। এশিয়ার দেশগুলোতে যারা বেশি মাছ খান তাদের মধ্যে এই উপকারিতা স্পষ্ট।

*সপ্তাহে দু'বার বা তিনবার এই মাছগুলি গ্রিল বা ভাপ নেওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এই ডায়েট হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং শরীরে প্রদাহ হ্রাস করে। ভারতে সামুদ্রিক খাবার সহজলভ্য। তাই ডায়েটে এই খাবারটি অন্তর্ভুক্ত করা সহজ।

*অ্যাপলঃ আপেলে ফ্লুরোটিন নামে একটি পলিফেনল থাকে। এটি স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করে। তবে এটি স্বাস্থ্যকর কোষগুলিকে মোটেও ক্ষতি করে না। এই খাবার শরীরে প্রদাহ, হৃদরোগ ও সংক্রমণ কমায়। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয় এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আপেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র‍্যাডিকেল প্রতিরোধ করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।