TRENDING:

Bengaluru Doctor Murder: অ্যানেস্থেশিয়ার ওষুধ দিয়ে স্ত্রীকে খুন! তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ছ মাস পর জালে ডাক্তার স্বামী?

Last Updated:

মৃত ওই তরুণী চিকিৎসকের নাম ক্রথিকা এম রেড্ডি৷ তাঁকে হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে ক্রুথিকার স্বামী চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জিএস-কে৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ছ মাস আগে মৃত্যু হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের৷ প্রথমে মনে করা হয়েছিল, স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সি ওই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের৷ কিন্তু মৃত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের লাগাতার চাপ এবং পুলিশের হাল না ছাড়া মনোভাবে শেষ পর্যন্ত সামনে চলে এল সত্যিটা৷ স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে মৃত ওই তরুণীর চিকিৎসক স্বামীকে গতকাল গ্রেফতার করে পুলিশ৷
মৃত ক্রুথিকা এবং তাঁর স্বামী মহেন্দ্র৷
মৃত ক্রুথিকা এবং তাঁর স্বামী মহেন্দ্র৷
advertisement

জানা গিয়েছে, মৃত ওই তরুণী চিকিৎসকের নাম ক্রথিকা এম রেড্ডি৷ তাঁকে হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে ক্রুথিকার স্বামী চিকিৎসক মহেন্দ্র রেড্ডি জিএস-কে৷ মহেন্দ্র নিজে একজন শল্য চিকিৎসক৷ পুলিশের দাবি, চিকিৎসক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই ঠান্ডা মাথায় নিজের স্ত্রীকে খুন করে তা স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন মহেন্দ্র নামে ওই চিকিৎসক৷

advertisement

প্রায় ছ মাস আগে বেঙ্গালুরুর মারাঠাহাল্লির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ক্রুথিকা নামে ওই চিকিৎসকের দেহ৷ তাঁর চিকিৎসক স্বামী দাবি করেন, হজম সংক্রান্ত সমস্যা এবং ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর৷

কিন্তু মেয়ের এই ভাবে মৃত্যুতে সন্দেহ হয় ওই চিকিৎসকের বাবা-মায়ের৷ তাঁদের চাপেই নতুন করে তদন্ত শুরু হয়৷ সেই তদন্তেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে৷ ঘুরে যায় তদন্তের অভিমুখ৷ জানা যায়, অস্ত্রোপচারের সময় রোগীদের সংজ্ঞাহীন করতে ব্যবহৃত প্রোপোফল নামে একটি ওষুধ প্রয়োগ করেই নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন মহেন্দ্র৷ শল্য চিকিৎসক হওয়ায় ওই ওষুধ সম্পর্কে ধারণা ছিল তাঁর৷ ওই ওষুধ প্রয়োগের ফলেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা শুরু হয় ওই তরুণী চিকিৎসকের৷ এর পরেই মৃত্যু হয় তাঁর৷

advertisement

ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টে প্রোপোফল ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলে৷ এর পরেই তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেয়৷ ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু যে স্বাভাবিক ছিল না, তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷

বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার সীমান্ত কুমার সিং জানিয়েছেন, কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ নিজেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়৷ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়৷ সেইরিপোর্ট আসার পরই জানা যায় যে ঘটনাস্থল থেকে এক ধরনের ঘুমের ওষুধের নমুনা মিলেছে৷ চিকিৎসকরাও নিশ্চিত করেন যে ওই ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রায় প্রয়োগের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই চিকিৎসকের৷ এর পরই জামাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা৷

advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পর পর তিন দিন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে স্ত্রীর শরীরে ওই অ্যানেস্থেশিয়ার ওষুধ প্রয়োগ করেন মহেন্দ্র রেড্ডি৷ যদিও স্ত্রীকে তিনি বলেছিলেন, হজমের সমস্যার জন্য ওই ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন তিনি৷ গত ২৩ এপ্রিল ক্রুথিকা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান মহেন্দ্র৷ চিকিৎসকরা ৭২ ঘণ্টা খালি পেটে থেকে একটি পরীক্ষার কথা বললেও ৩৬ ঘণ্টার মাথায় স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে আসেন মহেন্দ্র৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্রুথিকার মৃত্যু হয়৷ স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রথমে কিছুতেই দেহের ময়নাতদন্ত করাতে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না মহেন্দ্র৷ তাঁর এই আচরণেই প্রথমে পুলিশের সন্দেহ হয়৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
স্বাধীনতা আন্দোলনের গোপন ঘাঁটি ছিল এই কালীমন্দির! দেখে আসুন নিজের চোখেই
আরও দেখুন

তদন্তে পর পুলিশের দাবি, আর্থিক এবং ব্যক্তিগত কারণেই স্ত্রীকে খুন করেন মহেন্দ্র রেড্ডি নামে ওই চিকিৎসক৷ ক্রুথিকার বাবার দাবি, একটি হাসপাতাল খোলার জন্য বার বার টাকা চেয়ে চাপ দিতেন মহেন্দ্র৷ যদিও আগেই মেয়ে-জামাইকে ক্লিনিক খোলার জন্য টাকা দিয়েছিলেন ক্রুথিকার বাবা-মা৷ এর পাশাপাশি মহেন্দ্র বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও ছিল বলে অভিযোগ করেছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা৷ পণের জন্য মেয়ের উপরে অত্যাচার, গার্হস্থ্য হিংসার মতো অভিযোগও তুলেছেন তিনি৷

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Bengaluru Doctor Murder: অ্যানেস্থেশিয়ার ওষুধ দিয়ে স্ত্রীকে খুন! তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ছ মাস পর জালে ডাক্তার স্বামী?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল