এর আগেও হরিয়ানায় ৩০ জন আটক হওয়ার পর সমাজমাধ্যমে নিন্দা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, গত কয়েক দিন থেকেই সারা দেশে বাঙালি হেনস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। ২১ জুলাই দলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাঙালিদের হেনস্থা করলে চুপ করে বসে থাকবে না তৃণমূল।
advertisement
অন্যদিকে, হরিয়ানায় ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকর সময় তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক শ্রমিক। সে কারণেই এখনও তাঁদের মধ্যে কাজ করছে ভয়। এমনকি আধার কার্ড দেখানোর পরেও তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করেছে পুলিশ।
যদিও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যারা অবৈধ বাংলাদেশী তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলা হচ্ছে বলে কাউকে অত্যাচার করা হয়নি।
আরও পড়ুন রাশিয়া, জাপানে একসাথে আছড়ে পড়ল সুনামি…৮.৮ মাত্রায় ভূমিকম্প! ১৯৫২ সালের পরে সর্বোচ্চ
বাংলার বাইরে বাংলা ভাষায় কথা বললেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বাঙালিদের। এর বিরুদ্ধে বারবার সুর চড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই হরিয়ানা থেকে ছাড়া পেয়েছেন বাংলার ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এই শ্রমিকদের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রেখেছিল হরিয়ানা সরকার। পরে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ উপযুক্ত নথি পাঠালে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু হরিয়ানা নয়, অসম, দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে বাঙালি হেনস্থার খবর পাওয়া গিয়েছে।