বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবসের কাজগুলি পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করার জন্য ছয়জন নেতার একটি দল গঠন করেছেন। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, হর্ষবর্ধন, দুষ্ম্যন্ত কুমার গৌতম, নরেন্দ্র সিং, অনির্বাণ গাঙ্গুলি, শিব শক্তি এবং প্রীতি গান্ধি। সমস্ত রাজ্য শাখাকে দেওয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, দেশভাগের সময় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল তাঁদের স্মরণে মিছিলটি নীরব হওয়া উচিত। নির্দেশিকায় আরও বলা রয়েছে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং জাতীয় পতাকা পদযাত্রার অংশ হতেই পারে তবে দলীয় পতাকার দরকার নেই।
advertisement
আরও পড়ুন- "উপযুক্ত সময় এলেই জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা পাবে": স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
যাঁরা দেশভাগ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন সেই পরিবারগুলিকেও সম্মানিত করবে বিজেপি এবং একটি প্রদর্শনী জন্য প্রাসঙ্গিক সাহিত্য ও ছবিও সংগ্রহ করছে গেরুয়া দল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছরের ১৪ অগাস্ট ঘোষণা করেছিলেন, এই দিনটি মানুষের সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের স্মরণে দেশভাগের বিভীষিকা স্মরণ দিবস হিসাবে পালন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও উল্লেখ করেছিলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন এবং দেশভাগের কারণে সৃষ্ট বিবেকহীন ঘৃণা এবং হিংসার কারণে অনেকেই প্রাণও হারিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- দেশের বিজ্ঞানী, সাধারণ মানুষের জন্যই কোভিডের মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মোদি বলেছিলেন, “দেশভাগের বিভীষিকা স্মরণ দিবস সামাজিক বিভাজন, বৈষম্যের বিষ অপসারণ এবং ঐক্য, সামাজিক সম্প্রীতি এবং মানবিক ক্ষমতায়নের চেতনাকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথা আমাদের মনে করিয়ে দিক।”
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা ভারতকে ভাগ করে পাকিস্তানকে একটি মুসলিম দেশ হিসাবে আলাদা করে দেয়। দেশভাগ হওয়ার পরেই ব্যাপক দাঙ্গা শুরু হয় যাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন এবং কয়েক লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান। ভারত এ বছর স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করবে।