বিজেপি বিধায়কের এই গল্পে অবশ্য চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ত্রিপুরার বিজেপি শিবির। তবে তাদের নেতা সুব্রত চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘আশিসবাবু আসলে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অপমান করলেন তার ভোটারদের। যাদের দয়ায় তিনি নির্বাচিত হয়ে এসেছেন।’’ সুরমার এই বিধায়ক দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেও এখনই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ইস্তফা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দল সিদ্ধান্ত নেবে। ত্রিপুরায় বিজেপির একাধিক নেতা যোগাযোগ রাখছেন তাদের সঙ্গে।
advertisement
আরও পড়ুন-আজ মহালয়া, গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ, দেখুন ছবিতে...
বিগত কয়েক মাস ধরে এমন কথাই বলে চলেছেন তৃণমূল নেতারা। এমনকী, বিজেপির মধ্যে অন্তর্দন্দ্বের কারণ হিসাবে বিপ্লব দেবের নেতৃত্ব পছন্দ নয় বলেও তারা জানাচ্ছিলেন। আশিসবাবুর প্রায়শ্চিত্ত ও বিজেপি ছাড়ার কারণ কি আসলে বিপ্লব দেব? তিনি নিজে অবশ্য বলছেন, ‘‘একা বিপ্লব দেবকে দায়ী করে কোনও লাভ নেই। দায়ী আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারাও। মাঝে মাঝেই তাঁরা প্রতিনিধি পাঠান। কিন্তু মাটির খবর রাখেন না। দলে কী চলছে তার খোঁজ রাখেন না।’’
আরও পড়ুন- মুকুল ঘনিষ্ঠ সব্যসাচী দত্তও কি বিজেপি ছাড়বেন? প্রশ্নটা শুনেই মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ
তবে ত্রিপুরার রাজনীতিতে আশিসবাবু সুদীপ রায় বর্মণ শিবিরের বলে খবর। রাজনৈতিক মহলের খবর, এদের মধ্যেই একটা বড় অংশ যোগাযোগ রাখছে বাংলার শাসক দলের সঙ্গে। তবে তাদের মধ্যে কতজন যোগদান করবে তা সময়ই বলবে। আশিসবাবু অবশ্য একাধিক ইস্যুতেই সরব হয়েছিলেন বিজেপির আচরণের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘ত্রিপুরা ও আরও কিছু রাজ্যের বিজেপি নেতারা প্রায়শ্চিত্ত করতে চান। বিজেপি ত্যাগ করতে চান। আশিস বাবু অনুভব করেছেন, মানুষ কী চাইছেন, আর কী চাইছেন না। তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।"
আবীর ঘোষাল