ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার সময়, পাঠ্রি-সেলু রোডে। শিশু ছুঁড়ে ফেলার এই মর্মান্তিক দৃশ্য একজন পথচারীর নজরে আসে। তিনি তখনই পুলিশে খবর দেন।
তরুণী রীতিকা ধেরে এবং তার সঙ্গী আলতাফ শেখ সান্ত প্রয়াগ ট্রাভেলস নামক একটি বাসে পুনে থেকে পরভনি যাচ্ছিলেন। বাসটি ছিল স্লিপার কোচ। আলতাফ নিজেকে রীতিকার স্বামী বলে দাবি করেন। যাত্রাপথেই প্রসব বেদনা ওঠে রীতিকার এবং চলন্ত বাসেই তিনি সন্তান প্রসব করেন।
advertisement
এরপর দুজন মিলে শিশুটিকে কাপড়ে মুড়ে জানলা দিয়ে বাইরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
বাসের চালক জানালা দিয়ে কিছু ছোঁড়া হচ্ছে দেখে সন্দেহ করেন এবং আলতাফকে জিজ্ঞাসা করেন। তখন আলতাফ জানান, তার স্ত্রী বমি করেছেন।
কিন্তু একজন সজাগ পথচারী খেয়াল করেন যে বাস থেকে ছোঁড়া বস্তুটি একটি শিশু। তিনিই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান।
পুলিশ বাসটিকে তাড়া করে থামায় এবং রীতিকা ও আলতাফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুজনেই স্বীকার করেন যে তারা শিশুটিকে ফেলে দিয়েছেন কারণ তারা তাকে বড় করতে পারছিলেন না।
দুজনের বাড়ি পরভনিতেই হলেও তারা গত দেড় বছর ধরে পুনেতে বসবাস করছিলেন। তারা নিজেদের বিবাহিত দাবি করলেও কোন বৈধ নথি দেখাতে পারেননি।
পুলিশ তাদের আটক করে চিকিৎসার জন্য রীতিকাকে হাসপাতালে পাঠায় এবং তাদের বিরুদ্ধে নতুন ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৯৪ (৩) ও (৫) অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে। এই ধারাগুলি গোপনে জন্ম লুকানো এবং শিশুর মৃতদেহ গোপনে সরিয়ে ফেলার সঙ্গে সম্পর্কিত।
ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্ত যুগলকে আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছে।