মধ্যপ্রদেশের হাসপাতালের একটি টয়লেট থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সদ্যোজাত কন্যা শিশুর মরদেহ, যার শরীরের অর্ধেক অংশ কুকুরে খেয়ে নিয়েছিল। সকালে সেই দেহ উদ্ধার করা হয়৷ জানা গিয়েছে, অভাগা এই শিশুর মাও না কি তাকে ফেলে পালিয়েছে৷
advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে আনুমানিক ২.৩০-তে এক অজানা মহিলা টয়লেটে গোপনে প্রসব করেন। শিশুটিকে সেখানে রেখেই তিনি পালিয়ে যান। সকাল ছ’টা নাগাদ একজন রোগীর আত্মীয় টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে দেখতে পান, রক্তাক্ত পরিবেশে একটি শিশুর মৃতদেহ পড়ে আছে, যার অর্ধেক শরীর কুকুরে খেয়ে নিচ্ছে। মুহূর্তেই হাসপাতাল জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্নে হাসপাতাল হাসপাতালের নারী কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে কুকুরটিকে তাড়ান এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এখন ওই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
মানবিকতা ও প্রশাসনের প্রশ্ন এই ঘটনাটি একদিকে যেমন মায়ের মনোবল ও সামাজিক চাপে অসহায়ত্বের প্রতিচ্ছবি, তেমনি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতাকেও তুলে ধরে। প্রশ্ন উঠছে—একজন মহিলা কীভাবে রাতের অন্ধকারে টয়লেটে গিয়ে শিশুর জন্ম দিলেন, আর কাউকে কিছু টেরও হল না?
এখনো পর্যন্ত মা’র পরিচয় শনাক্ত হয়নি, তবে পুলিশের তদন্ত চলছে। এই ঘটনা গোটা সমাজকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে—একটা সদ্যোজাত জীবনের এতটা অবহেলা কেন?